খাবারের স্বাদ ভাল করার জন্য রান্নায় নুন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে নুন-গরম জল আমাদের কাছে অতি পরিচিত একটি পানীয়। হালকা কাশি হলে, গলার সমস্যা হলে কিংবা দাঁতে ব্যাথা হলে নুন-জলের থেকে আর কোনও বিকল্প কিছু হয় না। এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়ামের মতো উপকারী খনিজ, যা স্বাস্থ্যের যে কোনও অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম।
১. গলা ব্যাথা- নুন-জল দিয়ে গার্গল করা খুবই ভাল। প্রায় আধ চা চামচ নুন এক কাপ গরম জলের মধ্যে গুলে গলা ব্যাথা উপশম করতে দারুণ কার্যকরী। নুন-জলের মিশ্রণটি গলার মধ্যে অবস্থিত ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করতে অ্য়াসিডেরমতো কাজ করে।
২. নাক দিয়ে অনবরত জল গড়ালে- ঠান্ডা, ফ্লু বা অ্যালার্জি হলে নুন-জলের কারণে সহজে শ্বাস নিতে সাহায্য করে। নুন-জল দিয়ে নাকের ভিতর টেনে নিলে নাকের মধ্যে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা ও জ্বালা দূর করতে সাহায্য করে।
৩. অম্বল হলে- বেকিং সোডা হল একধরণের নুন। পেটে অ্যাসিড হলে, খাবার খাওয়ার পর এক গ্লাস ঠান্ডা জলে এক চা চামচ নুন গুলে খেয়ে নিলে দারুণ আরাম পাবেন।
৪. মুখে দুর্গন্ধ- সোডিয়াম-যুক্ত জল মুখ, মাড়ি ও গলার ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য এই মিশ্রণ অত্যন্ত উপকারী। মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হলে একগ্লাস গরম জলের মধ্যে এক চা চামচ নুন মিশিয়ে পান করুন। মুখ ও দাঁতের সুস্থতার জন্য কয়েক সেকেন্ড ধরে কুলকুচি করুন।
৫. দাঁতের কালো ছোপ- বেকিং সোডা দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের উপর কালো দাগ বা ছোপ দূর করা যায়। উজ্জ্বল ও সাদা দাঁত পেতে এই ঘরোয়া টোটকার বিকল্প নেই। বেকিং সোডা ও জলের একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করুন। বেকিং সোডার বদলে এক চা চামচ নুন-ও ব্যবহার করতে পারেন।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্য- বেকিং সোডা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করার জন্য সেরা ঘরোয়া প্রতিকার। নুন-জল পান করলে মলত্যাগ করতে অসুবিধা হয় না।
৭. ত্বকের সুস্থতা- নুন-জল প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের ব্যাকটেরিয়াকে রোধ করে। ব্রণ, একজিমা, সোরিয়াসিস, অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। পরিস্কার ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য এই ঘরোয়া টোটকা বেশ কার্যকরী।
আরও পড়ুন: ৫০ পেরিয়ে গিয়েছে? এই বয়সে কোন কোন রোগের প্রকোপ বাড়ে, জেনে রাখুন