শুধুমাত্র গর্ভনিরোধক হিসেবেই নয়, মহিলাদের হরমোনের সমস্যা PCOS/PCOD-রুখতেও কাজে লাগে এই গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট। মহিলাদের নিরাপদ যৌনতা এবং গর্ভনিরোধক হিসেবে খুবই ভাল কাজ করে এই পিল। তবে এই পল ব্যবহারের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। পিসিওএসের সমস্যায় খেলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তা খাবেন না। আর জন্মনিয়ন্ত্রক এই বড়ি খেলে বমি বমি ভাব, স্তনে ব্যথা, মাথাব্যথা, সাদা স্রাবের মত একাধিক সমস্যা হতে পারে। তবে গর্ভনিরোধক বড়ি অতিরিক্ত ব্যবহার একেবারেই ঠিক নয়। এর একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। পরবর্তীতে যা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। মাসে একবারের বেশি এই পিল কোনওভাবেই নয়।
মাত্রাতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল নয়। এই পিলও ঠিক তাই। গর্ভনিরোধিক বড়ি মাত্রাছাড়া ব্যবহার করলে সেখান থেকে এই ৬ সমস্যা হতেই পারে-
ডিপ্রেশন- জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ি বেশি খেলে ডিপ্রেশনের সমস্যা হবেই। পরবর্তীতে সেখান থেকে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টের বড়ি খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এর থেকেই প্রমাণিত যে কম বয়সে বেশি গর্ভনিরোধক বড়ি খেলে পরবর্তীতে ডিপ্রেশন আসবেই।
স্পটিং- এই বার্ঠ কন্ট্রোল পিলের আরও একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল স্পটিং। স্পটিং যোনিপথ থেকে যে রক্তপাত হয় মাসিকের সময় তাকেই বোঝানো হয়। অনেকের ক্ষেত্রে বাদামী স্রাব বেশি হয় আর এই বাদামী স্রাবও কিন্তু স্পটিং এর অন্যতম কারণ।
ওজন বেড়ে যাওয়া- এই সব ওষুধের আরও একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল ওজন বেড়ে যাওয়া। আর এই ওজন কমানো বেশ কঠিন। যে কারণে এই ওষুধ ভেবেচিন্তে খাবেন। আর খেলেও বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে।
পিরিয়ড মিস হওয়া- এই ওষুধ বেশি খেলে যে নিয়মিত পিরিয়ড হবে তা নয় বরং পিরিয়ডের স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহত হতে পারে। প্রতি মাসেও তখন ঠিকমতো পিরিয়ড হয় না। তাই নিজেকে সতর্ক হতে হবে।
রক্ত জমাট বেঁধে যায়- এই ওষুধ বেশি খেলে রক্ত জমাট বাঁধার মত সমস্যা হয়। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়াও ফুসফুসে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সাধারণ সমস্যাও এক্ষেত্রে গুরুতর হয়ে ওঠে।