PCOD-Weight Loss: রোজের এই ৬ নিয়মে পিসিওডি থাকলেও ওজন কমতে বাধ্য
Women Health: পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের জেরে নারী দেহে নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জেরে পিরিয়ড অনিয়ম হয়। পিরিয়ডের সময় তলপেটে ব্যথা, মুখভর্তি ব্রণ, ত্বকে রোমের আধিক্য বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু বেশি ভোগায় ওজন।
৫ জনের মধ্যে ১ জন মহিলা পিসিওডি-এর শিকার। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের জেরে নারী দেহে নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জেরে পিরিয়ড অনিয়ম হয়। পিরিয়ডের সময় তলপেটে ব্যথা, মুখভর্তি ব্রণ, ত্বকে রোমের আধিক্য বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। প্রজনন স্বাস্থ্যে নানা সমস্যা, এমনকি ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের ঝুঁকিও বাড়ে। কিন্তু যে সমস্যা একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া যায় না, তা হল ওজন। পিসিওডি বা পিসিওএস-এর সমস্যা ওজন বেড়ে যায়। ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। এই অবস্থায় কী করবেন মহিলারা?
১) পিসিওডি ও পিসিওএস থাকলে ওজন কমানোর জন্য ডায়েট জরুরি। পিসিওএস মূলত মেটাবলিক ডিজ়অর্ডার। তাই খাদ্যতালিকায় নজর দিতেই হবে।
২) বাইরের খাবার, ভাজাভুজি, জাঙ্ক ফুড, অস্বাস্থ্যকর খাবার সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন। এমনকি ধূমপান ও মদ্যপান থেকেও দূরে থাকতে হবে।
৩) বাড়ির তৈরি খাবার খান। সেখানে ফাইবার, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অন্যান্য পুষ্টি যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখুন। খাদ্যতালিকায় শাকসবজি, ফল বেশি করে খান।
৪) খাবারে তেলের পরিমাণও কমান। সাদা তেল একদম চলবে না। অলিভ অয়েল, পিনাট বা আমন্ড অয়েলকে বেছে নিতে পারেন। এছাড়া রেড মিট এড়িয়ে চলুন। ডিমের কুসুম খাবেন না। লো ফ্যাট মিল্ক বেছে নিন।
৫) পিসিওডি সমস্যা থাকলে দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকা যাবে না। এতে বিপাক হার কমে যায়। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার প্রতি ঝোঁক আরও বাড়ে।
৬) পিসিওডির সমস্যায় শরীরচর্চা করা জরুরি। ব্যায়াম, শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকা যায় এমন কাজ করতে হবে। ভারী ব্যায়াম না করলেও সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, জগিং, স্কিপিং, যোগাসন ইত্যাদি কাজ করতে পারেন।