কোষ্ঠকাঠিন্য মোটেই ভাল ব্যাপার নয়। ঠিকমতো খাবার না খেলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা হতে পারে। শরীর খারাপ হয়, হজম ঠিক ভাবে হয় না সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বল-পেটফোলা এসব লেগেই থাকে। কোষ্টকাঠিন্য খুবই যন্ত্রণাদায়ক। দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখলে
সেখান থেকে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। খাবারের মধ্যে যদি ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে তাহলে সেখান থেকে সমস্যা হতে বাধ্য। মল ঠিক ভাবে পরিষ্কার না হলে পায়ুদ্বারের শিরা ফুলে যায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে মাংসপিণ্ড হয়ে পাইলসের সমস্যা হতে পারে। আর কয়েকদিন পর পর যদি পেটখারাপ হয়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় তাহলে লিভারের উপরেও চাপ পড়ে। মলের সঙ্গে রক্তপাত, মলত্যাগে সমস্যা, মলদ্বারে চুলকানি হলে এমনকী একবার মালত্যাগের পরক্ষণেই যদি আবারও বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে তা কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাইলসের লক্ষণ। এছাড়াও অর্ন্তবাস বা টয়লেট পেপারে যদি হলুদ মিউকাস যুক্ত আঠালো পদার্থ লেগে থাকে তাহলেও সাবধান।
চিপস, ফাস্টফুড, আইসক্রিম, মাংস, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফ্রোজেন ফুড, চিজ এসব বেশি খেলে সমস্যা হবেই। এই সব খাবারের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট অনেক বেশি থাকে। এর ফলে মলদ্বারের শিরা ফুলে যায়। তখন মলত্যাগে কষ্ট হয়।
আর তাই রোজকার ডায়েটে যে সব খাবার রাখতেই হবে
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। এর ফলে অন্ত্রে আটকে থাকা যাবতীয় ময়লা খুব সহজেই দূর হয়ে যায়। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ জলও খেতে হবে। সেই সঙ্গে রোজ নিয়ম করে ফল, ওটস, ডাল, খাদ্যশস্য এসব খেতে হবে। চা, কফি একেবারেই বেশি খাবেন না। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাঁরা রোজ ব্রেকফাস্টে গরম দুধের মধ্যে চিয়া সিড মিশিয়ে খান। এতে বেশ ভাল কাজ হবে।