শৈশব (Childhood) থেকেই স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নে নেওয়ার অভ্যাসগুলি শুরু করা উচিত। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঠিক সামঞ্জস্য ও গঠন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন দেখা যায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে বয়ঃসন্ধিকাল ও শৈশবকাল থেকেই তাই হাড় মজবুত ও সুস্থ রাখার (Healthy Bones) কথা মাথায় রাখা দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, শৈশব ও বয়ঃসন্ধিকালে শক্তিশালী ও সুস্থ হাড়ের বিকাশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে কিছু ফল পেতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের খাদ্যতালিকা ও জীবনধারা পছন্দ আপনার বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শক্তিশালী হাড়ের বিকাশ ও রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে। পুষ্টিবিদদের মতে, মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ক্যালসিয়াম শরীরে শোষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু খাবার রয়েছে যা আসলে শোষনকে বাধা দেয় ও শেষ পর্যন্ত হাড়ের ক্ষয়কে বাড়িয়ে দেয়।
হাড়ের বড়সর ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে তাই ৩০বছরের কম বয়স থেকেই খেয়াল রাখা দরকার। যে যে জিনিসগুলি মাথায় রাখবেন, সেগুলি দেখে নিন একঝলকে…
১. সফট ড্রিঙ্কসে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও ক্যাফেইন থাকে। তারা একটি সংরক্ষণকারী হিসেবে ফসফরিক অ্যাসিড ধারণ করে। যা হাড়ের ক্ষয়বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।ট
২. অ্যানিম্যাল প্রোটিন অত্যাধিক গ্রহণের কারণে প্রস্রাবে ক্যালসিয়ামের ক্ষতি হয়। চা, কোক. চকলেট ও কফিতে থাকা ক্যাফেইন ক্যালসিয়াম নিঃসরণ বাড়ায়।
৩. ধূমপান ও চিবানো তামাকও হাড়ের ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। কারণ নিকোটিন ক্যালসিয়ামের শোষণকে প্রভাবিত করে।
৪. অতিরিক্ত লবণ ও চিনি গ্রহণের ফলে ক্যালসিয়াম নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়।
৫. অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা শরীরের ক্যালসিয়ামের ভাণ্ডার কেড়ে নিতে পারে।
৬. যখন আমরা হেঁটে যাই, দৌড়াই, জগিং করার মত কোনও শারীরিক কার্যকলাপ শুরু করেন তখন শরীরের হাড়ের ক্ষ.রোধ করতে সহায়তা করে।
৭. ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ , ঘন ঘন ব্যায়াম করা ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুশীলনের মত শক্তিশালী , স্বাস্থ্যকর হাড় বজায় রাখার জন্য আমরা অনেক কিছুই করতে পারি।