ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। মবিলাদের মধ্যে রোগ সমস্যা অনেক বেশি। মেয়েদের এমন সব সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় যা পুরুষদের হতে হয় না। তবে মহিলাদের মধ্যে এই একটা মানসিকতা আছে, তাঁরা নিজেদের রোগ-্জ্বালা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বাড়ির অন্য সদস্যদের দিকে খেয়াল রাখলেও নিজেদের দিকে কোনও নজরই দেন না। দিনের পর দিন গ্যাস-অম্বলের সমস্যা, পেট ব্যথা, পেট খারাপের সমস্যা এসব মামুলি বলে পাত্তা না দেওয়ার চেষ্টা করেন। আরও একটা সমস্যা মেয়েদের মধ্যোে আছে, তা হল নিজের অসুস্থতা নিয়ে তাঁরা কুন্ঠাবোধ করেন। প্রকাশ্যে সেই বিষয় নিয়ে কথা বলতে লজ্জা পান। কিন্তু মেয়েদেরই বুঝতে হবে, এমন কিছু শারীরিক সমস্যার শিকার তাঁদের হতে হয় যা ছেলেদেরকে হতে হয় না। মেয়েদের এবং ছেলেদের শারীরিক গঠনের পার্থক্যের জন্যই কিন্তু এই সমস্যা হয়। মহিলাদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতেই প্রতি বছর ২৮ মে দিনটি আন্তর্জাতিক নারী স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর তাই স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞরা মেয়েদের কিছু বিশেষ সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। যা তাঁরা প্রায়শই এড়িয়ে যান।
স্পটিং সমস্যা
স্পটিং খুব সাধারণ সমস্যা। যাঁদের ডিম্বাশয়ে সিস্ট রয়েছে, যাঁরা নিয়মিত ভাবে হরমোনের ওষুধ খান, যাঁরা প্রায়শই বার্থ কন্ট্রোল পিল খান তাঁদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। এছাড়াও মানসিক চাপ বাড়লে সমস্যা হতে পারে। যদি অকারণেই স্পটিং বেশি হয় তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এছাড়াও গরম জলে স্নান করতে পারেন।
ভ্যাজিনাইটিস
ভ্যাজাইনাতে অনেক সময় এক ধরণের জ্বালাভাব, চুলকানি, আঁশটে গন্ধ, সাদা স্রাব এবং ব্যথা অনুভূত হয়। এর অনেক কারঁ থাকতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে সুগন্ধী সাবান, ওয়াশ, লুব্রিকেন্ট, ট্যাম্পুন ব্যবহার করলে এই সমস্যা হতে পারে। আর তাই খুব মাইল্ড সোপ দিয়ে ভ্যাজাইনা ধুয়ে নিন।
সিস্টের ঝুঁকি
সিস্ট সাধারণত সময়ের সাথে চলে যায়। তবে আজকাল অধিকাংশ মেয়েই ভুগছেন এই ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায়। অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, অনিয়মিত পিরিয়ডস যার মূল লক্ষণ। পিরিয়ডে যদি কোনও রকম সমস্যা হয় তাহলে ডাক্তার দেখাতে দেরি করবেন না।
টাইট-সিন্থেটিক আন্ডারওয়্যার থেকে সংক্রমণ
সিল্ক কিংবা সিন্থেটিককের অর্ন্তবাস বাইরে থেকে দেখতে ভাল লাগে। কিন্তু তা একটানা পরে থাকা উচিত নয়। কারণ টাইট আন্ডারগার্মেন্ট পরলে সেখান থেকে বার বার ঘষা লাগা ও সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। যেখান থেকে ব্যাকটেরিয়া বংশবৃদ্ধি করতে পারে। তাই সব সময় সুতির অর্ন্তবাস পরুন।
ভ্যাজাইনা শুষ্ক হয়ে যাওয়া
ভ্যাজাইনা শুষ্ক হলে মেয়েদের একরকম শারীরিক কষ্ট হয়। এছাড়াও শুকনো হয়ে যাওয়াটা ঠিক লক্ষণ নয়। একটানা হরমোনের ওষুধ খেলে, সন্তানকে স্তন্যপান করালে এবং মেনোপজের আগে আগে এই সমস্যা হতে পারে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।