কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যাঁর রয়েছে একমাত্র তিনিই বোঝেন রোজ পেট পরিষ্কার না হওয়ার যন্ত্রণা। বাড়ি থেকে বাইরে বেরোলেই মাথায় ঘুরতে থাকে এই সমস্যার কথা। সকালের মধ্যে প্রায় বেশিরভাগ সময়ই কেটে যায় বাথরুমে, তবুও যে সমস্যার সমাধান হয় এমন কিন্তু নয়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কম খলে, জল কম খেলে, অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খেলে সেখান থেকে কিন্তু আসতে পারে এই সমস্যা। এছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বংশগত। গরমের দিনে ঘাম বেশি হয়, অজান্তেই শরীর বেশি ড্রাই হয়ে থাকে। সেখান থেকেও কিন্তু আসতে পারে এই সমস্যা। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধান করতে অনেকেই আর্য়ুবেদিক, জড়ি-বুটি, হোমিওপ্যাথি- নানা পন্থা অবলম্বন করেন। তবে কাজ হয় না কিছুতেই। সম্প্রতি সেলেব্রিটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর তাঁর ইন্সটাগ্রামে একটি জরুরি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আর সেখানেই তিনি লিখেছেন এই তিন জিনিসের কথা। যা মেনে চলতে পারলে চিরতরে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যত বেশি ওষুধ খাবেন তত কিন্তু সমস্যা বাড়বে। বরং তার চেয়ে নজর দিন আপনার রোজকার অভ্যাসে। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে পারলে রেহাই পাবেন এই সব সমস্যা থেকে। আর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দীর্ঘদিন চেপে রাখলে সেখান থেকে অর্শ, ফিসচুলা, ফিশার, খুদেমন্দা, গ্যাস, অম্বলের স্থায়ী সমস্যা চলে আসে। সেখান থেকে হতে পারে ক্যানসারও।
বরাবর দেশি ডায়েটের প্রতি সওয়াল করেন রুজুতা। আমাদের চারপাশের আবহাওয়া, স্থানীয় জমিতে যে সবজি চায হয় এবং যে ঋতুতে যে ফল পাওয়া যায়- সেই সব খাবারের কথাই তিনি বলেন। জোর দেন সেই সব খাবারের প্রতিই। আর তাই রুজুতা বলেন, রোজ নিয়ম করে সবজি, ঘি খেলে এবং নিয়ম করে ৭-৮ ঘন্টা যদি ঘুম হয় তাহলে কিন্তু একাধিক সমস্যা দূর হয়ে যাবে। পেট ফাঁপা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা খুবই সাধারণ। প্রতি ঘরে অন্তত ১ জন ভুগছেন এই সমস্যায়। এর নেপথ্য কারণ কিন্তু আমাদের জীবনযাত্রা। বর্তমানে জীবনের ‘দুরন্ত গতির’ সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে অনেকেই ফাইবার, শাকসবজি একেবারেই কম পরিমাণে খান। তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে ফাস্টফুড খান। আর সেখান থেকেই কিন্তু আসে এই সমস্যা।
যাঁদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা রয়েছে, নিয়মিত ভাবে ভোগেন এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় তাঁদের কফি এড়িয়ে চলার কথা বলেছেন রুজুতা। সেই সঙ্গে গরম রুটি বা ভাতের সঙ্গে একটু করে ঘি খাওয়ার কথা বলছেন। দুপুরে আর রাতে দুবেলাই যেন একবাটি করে তরকারি অবশ্যই থাকে পাতে সেদিকেও খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সবজির পরিবর্তে স্মুদি খেয়ে কোনও লাভ নেই বলেই মনে করেন রুজুতা। এর পাশাপাশি কিন্তু ঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠীর অভ্যাসও করতে হবে। নিয়ম করে বেলা ১২ টায় ঘুম থেকে উঠলে কোনও দিনই এই সমস্যা দূর হবে না।