শরীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গল হল হার্ট। হার্ট আমাদের চালিকা শক্তি। হার্টে যদি কোনও রকম সমস্যা হয় তাহলে সমগ্র শরীরেই তার প্রভাব পড়ে। কোভিড পরবর্তী সময়ে বেড়েছে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা। এছাড়াও কম বয়সীদের মধ্যে বাড়ছে স্ট্রোক, হার্ট অ্যার্টাকের মত সমস্যা। সম্প্রতি হার্ট অ্যার্টাকে বেশ কিছু সেলেব্রিটিও মারা গিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন কমেডি কিং রাজু শ্রীবাস্তব তেকে শুরু করে সিদ্ধার্থ শুক্লা, কে কে। সম্প্রতি একটি গবেষণা বলছে রোজকার খাবারই দায়ী হৃদরোগের জন্য। সেই তালিকায় যেমন ভাত রয়েছে তেমনই পাস্তা, পেস্ট্রি, চিপস এসবও রয়েছে। কোজকার খাবারের তালিকায় যদি এই সব খাবার থাকে তাহলে সমূহ বিপদ। বয়সের অনেক আগেই শরীরে জাঁকিয়ে বসে হৃদরোগ। কম বয়সে কাজ করা বন্ধ করে দেয় ধমনী। যে রোগকে করোনারি আর্টারি ডিজিজও বলা হয়।
premature Heart disease কি
অল্পবয়সে হৃদরোগের ঘটনাকে premature Heart disease বলা হয়। এই সমস্যা CDA-নামেও পরিচিত। এর ফলে ধমনীতে প্লেক তৈরি হয় (অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস)। যে কারণে হৃৎপিণ্ডের পেশিতে রক্ত চলাচল কমে যায়। NCBI-এর মতে, ৪৫ এবং ৫৫ বছরের কম বয়সী পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে করোনারি ধমনী সংকুচিত হওয়া যথাক্রমে অকাল করোনারি ধমনী রোগের কারণ।
আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি অনুসারে, বিভিন্ন ধরনের খাদ্যশস্য শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যেখান থেকে হৃৎপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ বাধা পায়। পরিশ্রুত শস্য, চিনি, তেল হার্টের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। তাই হার্টের রোগীদের প্রাথমিক ভাবে ময়দা, চিনি, চাল খেতে মানা করা হয়।
পরিশোধিত শস্য বা পরিশোধিত শর্করার মধ্যে রয়েছে মিষ্টি থেকে নোনতা পর্যন্ত অনেক খাবার, যা হার্টের জন্য ক্ষতিকর। এর মধ্যে রয়েছে সাদা ভাত, সাদা রুটি, ময়দা, পাস্তা, নুডলস এবং বেকড পটেটো চিপস। বেশিরভাগ পরিশোধিত শস্য সেরিলে পাওয়া যায়, যা স্ন্যাক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও যারা মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন তাদের ব্যাগেল, কেক, ওয়েফারস এবং পেস্ট্রি থেকে দূরে থাকতে হবে। এছাড়াও, স্মুদি, ফ্লেভার্ড দই এবং স্পোর্টস ড্রিংকও মেপে খেতে হবে।
নিয়মিত ভাবে ধূমপান, মদ্যপান করলেও সেখান থেকে বেড়ে যায় হৃদরোগের ঝুঁকি। ডায়াবেটিস থেকেও হয় বুকে ব্যথার মত সমস্যা। সেখান থেকে ধমনীর দেওয়ালের প্লেক ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর তাই পরিশোধিত শস্য এড়িয়ে চলতে পারলেই সবচাইতে ভাল। পরিবর্তে ডালিয়া, ওটস, গোটা শস্য, বিভিন্ন বীজ এসব বেশি করে খান। সবজি, ফল এসব বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। বড় মাছ, ডিম এসবও যত সম্ভব কম খেতে পারেন তত ভাল। এছাড়াও মাটন এড়িয়ে চলুন। তবেই কমবে PCDA-এর ঝুঁকি