Tuberculosis: কোভিডকালে যক্ষ্মায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ১৪ শতাংশ, প্রথমে চারে রয়েছে ভারত

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Oct 29, 2022 | 1:47 PM

WHO Report: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অতিমারিকালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ার কারণেই যক্ষ্মায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।

Tuberculosis: কোভিডকালে যক্ষ্মায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ১৪ শতাংশ, প্রথমে চারে রয়েছে ভারত

Follow Us

প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বজুড়ে যক্ষ্মায় আক্রান্তের সংখ্যা কমছিল। কিন্তু কোভিডকাল থেকে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে যক্ষ্মা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে ১৬ লক্ষ মানুষ যক্ষ্মায় মারা গিয়েছেন। ২০২১ সালে যক্ষ্মায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছয় লক্ষ। বৃহস্পতিবার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত দু’বছরে যক্ষ্মায় মৃতের সংখ্যা ১৪ শতাংশ বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে যে সব দেশে যক্ষ্মায় মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি সেই তালিকায় রয়েছে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, ফিলিপিন্সে।

গত দু’বছরে বেড়ে গিয়েছে এই মারণ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। অতিমারিকালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ার কারণেই যক্ষ্মায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৯ সালে যক্ষ্মায় মারা গিয়েছেন ১৪ লক্ষ মানুষ। ২০২০ সালে সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ লক্ষ। ২০২১-এ আরও এক লাখ বেড়ে গিয়েছে যক্ষ্মায় মৃত্যুর সংখ্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকের রোগীর পক্ষে করোনাকালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। অনেক রোগীই যক্ষ্মার চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন করোনাকালে। এর ফলেই মৃতের সংখ্যা এতটা বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে যক্ষ্মায় মোট এক কোটি ছয় লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যা ২০২০ সালের থেকে ৪.৫ শতাংশ বেশি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২০০৫ থেকে ২০১৯ সালে যক্ষ্মায় মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক অনেকটা কমছিল। ২০২০ থেকে আবার বাড়তে শুরু করেছে যক্ষ্মায় মৃতের সংখ্যা। আগামী দিনে কোভিডের পর পৃথিবী জুড়ে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে যক্ষ্মা। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব সংস্থার সংস্থার ওই রিপোর্ট।

যে সব দেশে যক্ষ্মায় মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে প্রথম চারে রয়েছে ভারত। কোভিডকালে ভারতেও যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ২০১৯ এর তুলনায় ২০২১-এ ১৯ শতাংশ বেড়েছে। ভারতে ২০২০ সালে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ছিল ২৮,১৬১ জন। ২০২১ সালে এই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯,৩৩,৩৮১। ভারতের ন্যাশানাল টিবি প্রিভালেন্স সার্ভে ২০১৯-২০২১ দেখা গিয়েছে এই রোগের প্রাদুর্ভাব প্রতি ১০০,০০ জনে ৩১২ জন।

Next Article