সুস্থ থাকতে সকলকেই অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে হবে। কেবলমাত্র সুন্দর দেখাতেই নয় শরীরের প্রয়োজনেই স্লিম থাকতে হবে। শরীরে মেদ জমলেই সেখান থেকে আসে একাধিক সমস্যা। উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড এসব বাড়তে থাকে। আর একবার যদি সুগার বাড়তে থাকে আর তা নিয়ন্ত্রণে না রাখেন তাহলেই সমস্যা। সুগার সব সময় সীমার মধ্যে রাখতে হবে। কিছু মানুষ আছেন যাঁরা রোজ জাঙ্ক ফুড খেয়েও নিজের ওজন ধরে রাখেন আবার এমন কিছুজন আছেন যাঁরা দিনের পর দিন ডায়েট করে, ব্যায়াম করেও ওজন ঝরাতে পারছেন না। সম্প্রতি ভিকি কৌশল তাঁর নিজের ফিটনেস সিক্রেট নিয়ে দারুণ একটি তথ্য শেয়ার করেছেন। সেখানেই অভিনেতা জানান নিয়মিত ভাবে পিৎজা-বার্গার খেয়েই ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন তিনি। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্যের উল্লেখ করা হয়েছে।
একটি ক্যুইশ শো-তেই ভিকি কৌশল তাঁর ওজন কমানোর এই সিক্রেট নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে অমিতাভ বচ্চনের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পিৎজা-বার্গারের পাশাপাশি নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চা করেন তিনি। আর সেই কঠোর শরীরচর্চাই তাঁকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ভিকি সেখানে আরও একটি তথ্য দিয়েছিলেন। তা হল তিনি Ectomorphs, অর্থাৎ তাঁর দ্রুত ওজন বেড়ে যাওয়ার মত কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু প্রয়োজনে ওজন বাড়াতে সমস্যা হয়। যে কারণে তাঁকে সুষম আহারের মধ্যে থাকতে হয়।
হিউস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শারীরিক গঠনের উপর ভিত্তি করে যে সেই মানুষ এক্টোমর্ফ কিনা। যাঁরা Ectomorphs হন তাঁদের শরীরী গড়ন বেশ লম্বা হয়। শরীরে অতিরিক্ত কোনও চর্বি থাকে না। পেশীবহুল চেহারা হয় এমনও কিন্তু নয়। সেই সঙ্গে কোমরে মেদ একেবারেই থাকে না, কাঁধ-নিতম্ব ছোট থাকে। NCBI- তে প্রকাশিত সেই গবেষণায় দেখা গিয়েছে পুরুষদের তুলনায় নারীদের ইক্টোমর্ফ বেশি। যে কারণে অধিকাংশ মেয়েদেরই ছেলেদের তুলনায় পাতলা লাগে।
Ectomorphs- যাঁরা হন তাঁরা তুলনায় পাতলা হন। তাদের পেশীর ভর, শক্তি দুই কম হয়। এছাড়াও এদের গায়ের জোরও তুলনায় কম হয়। আর তাই এমন মানুষদের পেশীর জোর বাড়াতে নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চা করতে হবে। স্কোয়াট, শোল্ডার প্রেস, বেঞ্চ প্রেস করলে উপকার পাওয়া যাবে।
ইক্টোমর্ফ ছাড়াও এন্ডোমর্ফ, মেসোমর্ফ এই তিনভাবে শরীরের প্রকারভেদ করা যায়। যাদের শরীরে চর্বির ভাগ বেশি, পেশী মোটা এবং ওজন বেশি হয় সেই সব মানুষদের এন্ডোমর্ফ বলা হয়। অন্যদিকে কোনও রকম পরিশ্রম ছাড়াই যাঁদের শরীর বেশ আঁটসাঁট এবং পেশীর জোর রয়েছে তাদের মেসোমর্ফ বলা হয়।