International Coffee Day: সারাদিনে কতটা পরিমাণ কফি স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযুক্ত?
যেকোনও জায়গাতেই কফি মানানসই। শীতকালে ধোঁয়া ওঠা গরম কফিতে চুমুক দেওয়ার মজাই আলাদা। তবে ক্যাফিনের মাত্রা বেশি থাকায় অনেকসময় শরীরে ক্ষতি হয় বৈকি।
সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গরম পানীয় হিসেবে কফিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। কর্মস্থলে কিংবা সন্ধ্যের আড্ডায়। যেকোনও জায়গাতেই কফি মানানসই। শীতকালে ধোঁয়া ওঠা গরম কফিতে চুমুক দেওয়ার মজাই আলাদা। তবে ক্যাফিনের মাত্রা বেশি থাকায় অনেকসময় শরীরে ক্ষতি হয় বৈকি। পুষ্টিবিদদের মতে, পরিমিত পানীয় শরীরের উপকার করে, পজিটিভ এনার্জিও বহন করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে. যে কোনও মুদ্রায় দুটি দিক থাকে। যদিও কফির অতিরিক্ত ব্যবহারে উদ্বেগ, অনিদ্রা ও অস্থিরতা তৈরি হয়। প্রতিদিন কফি পান করলে এগুলি ধারাবাহিকভাবে স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব বিস্তার করে।
এমন অনেক গবেষণা দেখা গিয়েছে, নিয়মিত কফি পান করায় স্নায়বিক অবস্থা যেমন ডিমেশিয়া, অ্যালজাইমার ও পারকিনসন্স রোগ হ্রাস পায়। তবে এব্যাপারে এখনও গবেষণা জারি রয়েছে।
নি.মিত কফি পান করলে হরমোনে এপিনেফ্রিন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যা শারীরিকভাবে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, পেশী শক্তি ও শরীরের সামগ্রিক ধৈর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও শক্তির মাত্রা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কফিতে রয়েছে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস – ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন বি। যা ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা উদ্দীপিত করে। ম্যাগনেসিয়াম টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রভাব বিলম্ব করতে সাহায্য করে।
কফি কখন , কতটা পরিমাণ খাবেন
প্রতিদিন ২ থেকে ৪ কাপের বেশি কফি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কফি পান করলে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। যদি বেশি মাত্রায় কফি পান করেন তাহলে তা শরীরে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে। দুধ ও চিনি দিয়ে তৈরি কফির থেকে ব্ল্যাক কফি পান করা শরীরের প্রতি স্বাস্থ্যকর।
আরও পড়ুন: Foot Pain: পায়ের অসহ্য ব্যাথায় কাবু? এই ৫ সহজ ব্যায়ামেই মিলবে মুক্তির পথ