হাত, কোমর, হাঁটু কিংবা জয়েন্টে ব্যথা ( Joint Pain) নেই এমন মানুষের সংখ্যা এখন বিরল। প্রতি বাড়িতেই এমন কিছু সদস্য রয়েছেন যাঁরা গাঁটের ব্যথায় ভুগছেন। আগে একটা বয়সের পর আসত এই সমস্যা। এখন তুলনায় নবীনরাও কিন্তু এই একই অভিযোগ করছেন। হঠাৎ করেই হাত স্বাভাবিক ভাবে নাড়াতে না পারা, উঠতে গেলেই পায়ে ব্যথা এবং ঠিকমতো দাঁড়াতে না পারা, সঙ্গে জ্বালা ভাব- এই সবই কিন্তু আর্থ্রাইটিসের লক্ষণ। আর্থ্রাইটিসের সমস্যা হলে একদিন নয়, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়। কিন্তু স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে অধিকাংশই তা এড়িয়ে যান। আর এখান থেকেই পরবর্তীতে সমস্যা গুরুতর হয়ে ওঠে। আর্থ্রাইটিস হলে বেশিরভাগেরই হাতে ব্যথা হয়। হঠাৎ করে মাথায় উপর হাত তুলতে না পারা, চুল আঁচড়াতে না পারা এবং নিজের হাতে খেতে না পারা- এই সবই কিন্তু আর্থ্রাইটিসের লক্ষণ। মূলত সকালের দিকেই এই সমস্যা বেশি হয়।
সাধারণ ভাবে আর্থ্রাইটিসের যে সব লক্ষণ দেখা যায় –
হঠাৎ করে মারাত্মক হাত পা পায়ে ব্যথা (Arthritis Pain)- যেখান থেকে মধ্যরাতে ঘুম থেকে উঠতে বাধ্য। শুধু হাত নয় কোমর, হাঁটুতেও কিন্তু হতে পারে এই ব্যথা।
আর্থ্রাইটিসের ব্যথা এক জায়গায় হয় না। প্রথমে যে খানে ব্যথা হয় কিছু সময় পর আবার অন্য জায়গায় ব্যথা হতেই পারে।
ব্যথা হলে খুবই কষ্ট হয়। সেই সঙ্গে শরীরে তৈরি হয় অস্বস্তি। এছাড়াও আর্থ্রাইটিসের সমস্যা থাকলে জয়েন্টের জায়গায় লাল হয়ে ফুলে থাকে। সেই অংশে থাকে জ্বালা, প্রদাহজনিত ব্যথাও।
আঙুল ফুলে যায় স্বাভাবিকের তুলনায়, নাড়ানো যায় না কোনও ভাবেই। কোনও কিছু ধরতেও সমস্যা হয়।
আঙুল সোজা করতে গেলে একরকম আওয়াজ হয়। শুনে মনে হতে পারে হাড় বুঝি ভেঙেই গেল। এছাড়াও জয়েন্ট ফুলে যায়। পা-এর স্বাভাবিক মুভমেন্ট নষ্ট হয়ে যায়। গাঁটের মধ্যিখানে কিছু অংশ ফুলে ওঠে। হাত ক্রমশ কমজোরি হয়ে পড়ে।
শুধুমাত্র বয়স্কদের মধ্যেই নয়, বাচ্চাদেরও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা। আথ্রাইটিসের ব্যথা সবচেয়ে বেশি ভোগায় সকালের দিকে।
কী ভাবে এই ব্যথা ( Arthritis Symptoms) থেকে মুক্তি পাবেন
আর্থ্রাইটিসের সমস্যা হলে চিকিৎসকরা প্রথমেই অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলার কথা বলেন। আর্থ্রাইটিসের সবথেকে ভাল ওষুধ ওজন কমানো। এছাড়াও অতিরিক্ত ভারী কিছু তোলা যাবে না। এতে চাপ পড়ে জয়েন্টে, বিশেষত হাঁটুতে। সেই সঙ্গে কোমর, পায়ের পাতা, গোড়ালিতেও কিন্তু সমস্যা দেখা দেয়। তাই অতিরিক্ত এক্সসারসাইজ কিংবা ওয়েট ট্রেনিং নয়। বরং স্ট্রেচিং, যোগা এই ব্যথা কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে ডায়েট করুন। তবেই মিলবে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি।