Silent Heart Attack: ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’ ধরে দেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই

Jul 08, 2024 | 10:48 PM

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সেই রিসার্চ পেপার ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিতও হয়েছে। তাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত এক যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। যন্ত্রটি অনেকটা সিটি স্ক্যান মেশিনের মতো। যার মধ্যে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। গবেষকরা বলছেন, যে কোনও ব্যক্তির হার্টের অসুখের লক্ষণ থাকুক বা না থাকুক এই নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত সিটি স্ক্যান মেশিন পরীক্ষা করে বলে দেবে দশ বছরের মধ্যে সেই ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না।

Silent Heart Attack: সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক ধরে দেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই

Follow Us

অল্পবয়সিদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা ইদানিং খুব বেড়ে গেছে। বহু মানুষ যাঁরা অসুস্থ নন, হার্টের রোগ নেই তাঁরাও আচমকা হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছেন। হাঁটতে-দৌড়তে, এক্সারসাইজ করতে গিয়ে, নাচতে গিয়ে কখন যে আচমকা কার হার্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আগে থেকে কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছে না। আমরা দেখছি দিব্যি সুস্থ মানুষ। হঠাৎ বুকে ব্যথা, প্রবল ঘাম, তারপরেই অজ্ঞান। যে জ্ঞান আর ফিরছে না। ডাক্তাররা একে বলেন সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক। এসব ক্ষেত্রে আগে থেকে কোনও উপসর্গ থাকে না। আচমকা ঘটে যায় অঘটন। এই পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখাচ্ছে একটা গবেষণা।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সেই রিসার্চ পেপার ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিতও হয়েছে। তাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত এক যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। যন্ত্রটি অনেকটা সিটি স্ক্যান মেশিনের মতো। যার মধ্যে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। গবেষকরা বলছেন, যে কোনও ব্যক্তির হার্টের অসুখের লক্ষণ থাকুক বা না থাকুক এই নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত সিটি স্ক্যান মেশিন পরীক্ষা করে বলে দেবে দশ বছরের মধ্যে সেই ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের টাকায় চলছে এই গবেষণা। তারা বলছে হার্ট অ্যাটাকের কারণে মৃত্যুর হার অনেকটাই কমিয়ে দেবে এই যন্ত্র। কারণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যদি বলে দেয় যে কারও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে অনেক আগেই তিনি চিকিত্‍সা শুরু করাতে পারবেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের লাইফস্টাইল চেঞ্জ করতে পারবেন। আপাতত যা জানা যাচ্ছে, প্রায় সাড়ে ৩ লাখ হার্টের রোগীর ওপর পরীক্ষা করে এই যন্ত্র তৈরি করেছেন গবেষকেরা। তাতে ভালো রেজাল্ট মিলেছে। কিছু কাজ এখনও বাকি আছে। সেটা শেষ হয়ে গেলে আর ব্রিটেনের সরকারি সংস্থা National Institute for Health and Care Excellence-এর ছাড়পত্র মিলে গেলেই, এবছরের শেষ দিক থেকে সারা ব্রিটেনে এই যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে।

আশা করতেই পারি আগামী দিনে ভারতেও এই যন্ত্রের ব্যবহার দেখতে পাব। পেটেন্ট, কর্মাশিয়াল প্রোডাকশন এই সব নিয়ে সবসময়েই কিছু জটিলতা থাকে। তবে যন্ত্র যদি সত্যিই ভাল কাজ করে তাহলে এইসব নিয়ে বড় সমস্যা হবে না। চিকিত্‍সকরা বলছেন বুকের মাঝখানে বা বাঁ দিকে মাঝেমাঝেই কয়েক মিনিটের জন্য অস্বস্তি, সঙ্গে ঘাম বা এসি-র মধ্যেও ঘেমে যাওয়া, মাঝে মাঝে শ্বাস নিতে সমস্যা বা দম বন্ধ হয়ে আসা, প্রবল ঘামে মাঝরাতে হঠাত্‍ ঘুম ভেঙে যাওয়া। এইসবের কোনও একটা লক্ষণও যদি দেখেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে যান ডাক্তারের কাছে। কারণ, যদ্দিন না এই যন্ত্র আসছে ততদিন নিজের খেয়াল রাখতে হবে নিজেকেই।

Next Article