ওজন বেড়ে যাওয়া মোটেই ভাল বিষয় না। শরীরে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু সময় থাকতে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে না রাখলে অবস্থার অবনতি ঘটে। ওবেসিটি থেকে উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। কিন্তু সমস্যা হল, চাইলেই ওজন কমানো যায় না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে সময় কাটালেই যে ওজন কমে যাবে তা নয়। আবার ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ না খেলে যে ওজন বাড়বে না, তাও কিন্তু নয়। বরং এভাবে শরীরের উপর আরও খারাপ প্রভাব পড়ে। শীতে ওজন কমানোর কিছু কার্যকর ও সহজ প্রতিকার শেয়ার করেছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীক্ষা ভাবসার। বিশেষজ্ঞের দাবি, এই টিপস মেনে চললে আপনি ৩ সপ্তাহে ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবেন। আপনিও যদি আয়ুর্বেদিক উপায়ে ওজন কমানোর কথা ভাবেন, এই টিপসগুলো মেনে চলতে পারেন।
আদা জল খেয়ে ওজন কমান-
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের মতে, ওজন কমানোর জন্য জলের পাশাপাশি সারাদিন আদা জল পান করুন। আদার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এটি শরীরের চর্বি পোড়ায়, কার্বোহাইড্রেট হজমে সাহায্য করে এবং ইনসুলিনের প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে। এতে ওজন চট করে বাড়ে না। ১ লিটার জল নিন। এতে ১/২ চা চামচ শুকনো আদা যোগ করুন। এই জল ৭৫০ মিলি না হওয়া পর্যন্ত ফুটিয়ে নিন। এবার এটা পান করুন। এছাড়া আপনি আদা দিয়ে ডিটক্স ওয়াটার বানিয়েও পান করতে পারেন।
শরীরচর্চা করুন-
অলস জীবনযাপন শরীরে রোগের বাসা তৈরি করে। সকাল বা রাতে ৪০-৫০ মিনিট নিয়ম করে হাঁটুন। এটি আপনাকে ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করবে। কপালভাতি প্রাণায়াম ওজন কমানোর জন্য দুর্দান্ত বিকল্প। এটি যোগাসন সরাসরি আমাদের শরীরের বিপাকীয় হার, অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং হজম স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। এই প্রাণায়মটি নিয়মিত ১০-১৫ মিনিটের জন্য সঠিকভাবে অনুশীলন করুন।
সূর্য নমস্কার করুন। এটি ১৬টি ধাপে করা হয়। এতে ১২টি ভিন্ন যোগব্যায়াম যুক্ত রয়েছে। এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি ওজনও কমায়। সূর্য নমস্কার ১৩.৯০ পর্যন্ত ক্যালোরি পোড়াতে পারে। নিয়মিত আপনাকে এটা ১২বার করতে হবে। তবেই উপকার পাবেন।
সঠিক সময়ে খাবার খান-
খাবার সময়টা ঠিক রাখুন। সঠিক সময়ে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার করুন। সকার ৯-১১ থেকে বিকাল ৫-৭ টার মধ্যে আপনাকে খাওয়া সারতে হবে। এতে হজম স্বাস্থ্য উন্নত হবে। পাশাপাশি ওজনও কমবে।