মাথা থাকলেই থাকবে মাথা ব্যথাও। অধিকাংশ মানুষ তাই কথায় কথায় বলেন যে মাথা ধরে রয়েছে। এই মাথা ধরে থাকার একাধিক কারণ রয়েছে। রাত জেগে কাজ করলে মাথা ধরে থাকে। অতিরিক্ত চাপ পড়লে তখনও মাথা ধরে থাকে। গ্যাস, অম্বল এসব হলে সেখান থেকেও কিন্তু মাথা ধরে থাকার মত সমস্যা হয়। শুধু সকাল নয়, দিনরাত মাথাব্যথা হয়। যদি সবদিন সব সময় এই মাথা ধরে থাকে তাহলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। একটানা কোবও কিছু অবহেলা করা বা সামান্য ঘরোয়া টোটকায় কাজ চালিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। মাথা ব্যথার অনেক রকম কারণ থাকতে পারে। দুশ্চিন্তা, অ্যানিমিয়া, হজমের সমস্যা, মাইগ্রেন থেকেও হতে পারে মাথাব্যথা। আজকাল অধিকাংশই একটানা ল্যাপটপের সামনে কাজ করেন। দীর্ঘক্ষণ আলোর মধ্যে থাকতে হয়। এখান থেকেও কিন্তু মাথা ব্যথার মতো সমস্যা হয়।
রোজ এই মাথাব্যথা হলেও অনেকে ঠিক বুঝতে পারেন না এর নেপথ্য কারণ কি। অর্থাৎ কেন এই মাথাব্যথা হচ্ছে। আর এর থেকেই দেখা দিতে পারে বড়সড় কোনও জটিলতা। সময় থাকতে থাকতেই তা সতর্ক হন। মাথা ব্যথা হলেই ওষুধ খাওয়া কিংবা বাম লাগানো মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং এখান থেকে আসতে পারে আরও হাজারো সমস্যা। সেক্ষেত্রে রোজ ব্যথা হলে কাজে লাগান আয়ুর্বেদের এই সব সহজ টোটকা।
রসুন- যে কোনও রকম ব্যথা প্রদাহ সারাতে কাজে লাগানো যায় রসুনকে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। নিমেষের মধ্যে মাথা ব্যথা কমিয়ে দিতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। তাই নিয়মিত মাথা ব্যথা কমাতে কয়েক টুকরো রসুন খেতেই পারেন। মধু আর এককোয়া রসুনেও কিন্তু বেশ কাজ হয়।
দারুচিনি- দারুচিনি মাথা ব্যথার বিশেষ কাজে দেয়। এছাড়াও দারুচিনির একাধিক উপকারিতাও রয়েছে। আদা, দারুচিনি, গোলমরিচ, লবঙ্গ এসব দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। এতে মাথা ছাড়ে দ্রুত। সঙ্গে হজমের সমস্যারও সহজে সমাধান হয়ে যায়।
আমলকী- রোজ সকালে খালিপেটে আমলার জুস খেতে পারেন। এতেও হয় সমস্যার সমাদান। এছাড়া কাঁচা আমলকী বাজার থেকে কিনে এনে স্লাইস করে কেটে নুন মাখিয়ে রোদে ফেলে রাখুন। দুপুরে ভাত খাওয়ার পর এই আমলকীর টুকরো মুখে দিন। এতে মাথা ব্যথাও কমবে। হজমও ভাল হবে।
ধনেপাতা- ধনেপাতাও কমিয়ে দিতে পারে এই মাথা ধরে থাকার সমস্যা। ধনেপাতা, কাঁচা হলুদ এককাপ জলে দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার তা ছেঁকে নিয়ে খেয়ে নিন। এই টোটকা মেনে চলতে পারলে মাথা ব্যথা অনেকটাই কমে যায়।
লিকার চা- চিনি ছাড়া আদা, গোলমরিচ দেওয়া লিকার চা খান দিনের মধ্যে অন্তত ২ বার। এতেও কিন্তু ভাল কাজ হয়। হজম যেমন ভাল হয় তেমনই হজম সংক্রান্ত অনেক সমস্যাও সহজে মিটে যায়।