দুধের (Milk) বিকল্প সহজে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফ্যাটের চাহিদা পূরণ করার জন্য দুধ খাওয়া জরুরি। এর পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গরুর দুধ পুষ্টিতে ভরপুর। কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গরুর দুধ রক্তে আয়রন ও কপারের মতো পুষ্টির প্রবাহকে বাধা দেয়। এছাড়াও অনেকের মধ্যে গরুর দুধে ল্যাকটোজ-অ্যালার্জি দেখা দেয়। বিশেষত গরুর দুধ গ্যাস্ট্রিক রোগীদের ওপর কু-প্রভাব ফেলে। তাই আপনি যদি গরুর দুধের বিকল্প খুঁজে থাকেন, তাহলে সাহায্য নিতে পারেন ছাগলের দুধের। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ছাগলের দুধ (Goat Milk) পুষ্টিতে ভরপুর।
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের ডাঃ রেখা রাধামণি সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রামে ছাগলের দুধের পুষ্টি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যখনই তাঁদের বাড়িতে কোনও শিশু জন্ম নেয়, তাকে ছাগলের দুধ পান করানো হয়। তিনি লিখেছেন, “আপনি যদি আমরা দিদা বা ঠাকুমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি সবসময় বলবেন যে ছাগলের দুধ শিশুদের জন্য ভাল। আর এভাবেই আয়ুর্বেদ আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিশেছে।”
ডাঃ রেখা রাধামণি নিজের ইনস্টা পোস্টে ব্যাখ্যা করেছেন যে, ছাগলের দুধে জল মিশিয়ে নবজাতককে পান করালে তা মাতৃদুগ্ধের মতোই স্বাস্থ্যকর। কোনও মায়ের যদি দুধ না তৈরি হয়, এই ক্ষেত্রে ছাগলের দুধ একটি ভাল বিকল্প হতে পারে শিশুর জন্য। ছাগলের দুধ পান করলে নবজাতক এবং বাচ্চাদের মধ্যে ডায়ারিয়ার সমস্যা এড়ানো যায়।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ রেখা জানিয়েছে, ছাগলের দুধের বৈশিষ্ট্যগুলো জানার জন্য প্রথমে ছাগলকে বুঝতে হবে। এটা শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, রেখা বর্ণনা করেছেন, যে ছাগল সবসময় সক্রিয়, যে প্রচুর পরিমাণে জল পান করে, ঘাস খায় সেই ছাগলের দুধ পুষ্টিগুণে ভরপুর।
এর পাশাপাশি রেখার ব্যাখ্যা করেছেন ছাগলের দুধের উপকারিতাগুলি। তিনি লিখেছেন, ছাগলের দুধ শরীরকে সচল রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ছাগলের দুধ শরীরকে সক্রিয় রাখে এবং শরীরে শক্তির জোগান দেয়। গর্ভাবস্থার পর মহিলাদের মধ্যে, দুর্বলতা দেখা দেয়। এই দুর্বলতা দূর করতে ভীষণভাবে কার্যকর ছাগলের দুধ। এর পাশাপাশি কফের সমস্যাও কমাতে সাহায্য করে ছাগলের দুধ।
গরুর দুধে ল্যাকটোজ-অ্যালার্জিটিক প্রভাব রয়েছে। এই কারণে অনেকেই এড়িয়ে যান গরুর দুধে। এই ক্ষেত্রে আপনি ছাগলের দুধ খেতে পারেন। বদহজমের সমস্যা থাকলেও খেতে পারেন ছাগলের দুধ।