মানুষের প্রস্রবে (Urine)একটা ঝাঁঝালো গন্ধ রয়েছে। যার সঙ্গে কমবেশি সকলেই পরিচিত। মূলত প্রস্রাবে উপস্থিত অ্যামোনিয়াই এই গন্ধের জন্য দায়ী। তবে অনেকসময় এই গন্ধ মাত্রা ছাড়ায়। দুর্গন্ধ এতটাই বেড়ে যায় যে তা অসহনীয় হয়ে ওঠে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গন্ধের পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। এর অন্যতম কারণ হল খাদ্য ও পানীয়। আমরা সারাদিন এমন কিছু খাদ্য ও পানীয় খাই যা প্রস্রাবে তীব্র দুর্গন্ধের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই দুর্গন্ধের সমস্যা এড়াতে কোন-কোন খাবারকে জীবন থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে…
পেঁয়াজ-রসুন:
বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যধিক পেঁয়াজ রসুন খেলে এই সমস্যা হতে পারে। বাঙালি আমিষ রান্নায় পেঁয়াজ-রসুনের ব্যবহার ভীষণই প্রচলিত। তাই না চাইতেও পেঁয়াজ রসুন খাওয়া হয়েই যায়। ফলে বিপদে পড়তে হয়। তাই এগুলি খান কিন্তু পরিমাণটা কমিয়ে দিন।
মশলাদার খাবার:
অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খেলেও প্রস্রাবে দুর্গন্ধের সমস্য়া হতে পারে। জিরে, হলুদ, ধনে জাতীয় মশলাগুলি প্রস্রাবে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করতে পারে।
জল কম খাওয়া:
সুস্থ থাকতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাক্তির ৩-৪ লিটার জল খাওয়া উচিত। জল খাওয়ার পরিমাণ এর থেকে কম হলেই প্রস্রাবে গন্ধ হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কফি:
এছাড়া অত্যধিক কফি খেলেও প্রস্রাবে তীব্র দুর্গন্ধ হতে পারে। কফিতে ক্য়াফাইন ও অন্যান্য যৌগ রয়েছে যা এই সমস্যার জন্য দায়ী। এছাড়া বেশী পরিমাণে কফি খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে ফলে এই সমস্যা আরও বাড়ে।
দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব কোন রোগের লক্ষণ?
এন এইচ এসের মতে, প্রস্রবে দুর্গন্ধ হওয়া সাধারণত তেমন চিন্তার বিষয় নয়। তবে এর সঙ্গে যদি অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়, যেমন – প্রস্রাবের সময় জ্বালা-যন্ত্রণা, ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রস্রাব হওয়া, মূত্রের রং হলুদ, তাহলে তা মূত্রনালীর সংক্রমণ (urinary tract infection) এর লক্ষণ বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া কিডনিতে পাথর বা টাইপ ২ ডায়াবেটিস থাকলেও এই সমস্যা হতে পারে। এমনটা হলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।