সদ্য মা হওয়ার পর শরীরের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মায়ের শরীরের উপর নির্ভর করে একটি সদ্যোজাতের ভাল থাকার মূলমন্ত্র। এই সময় সন্তানকে পরিচর্চা জন্য নিজের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখার জন্য দরকার সঠিক ও স্বাস্থ্যকর ডায়েট। শিশুর জন্মের পর নতন মায়েদের সুস্থ ও ফিট থাকার জন্য সেরা পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন হয়। শারীরিক ও মানসিক -সব দিক থেকেই নজর রাখার জন্য প্রথমে ডায়েটচার্ট বানিয়ে নেওয়া জরুরি।
শিশুর জন্মের পর একজন মায়ের সবকিছু বদলে যায়। মাতৃত্বের নতুন স্বাদে মশগুল হয়ে থাকে সে। তাই পোস্ট-প্রেগন্যান্সিতে নতুন মায়েদের জন্য কোন কোন খাবার সবদিক খেয়াল রাখবে, তা জেনে নিন একঝলকে…
দুধ- মাতৃদুগ্ধ ও হাড়ের শক্তির বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন দুধ খাওয়া জরুরি। দুধের পাশাপাশি প্রতিদিন পাতে পড়ুক দই , দুগ্ধজাত খাদ্য যেমন পনির, চিজ প্রভৃতি। নতুন মায়েদের শরীরে পুষ্টির জন্য দুধ ও দুধের তৈরি খাবার অত্যন্ত প্রয়োজন।
মাছ- বাঙালিরা এমনতিই মাছ খেতে ভালবাসে। পোস্ট-প্রেগন্যান্সিতে অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকরের জন্য মাছ খাওয়া খুবই দরকার। ফ্যাটি ফিস যেমন স্যামন , টুনা এইগুলিও খাওয়া যায়। তবে দেশি মাছও কোনও অংশে মন্দ নয়। ছোট মাছ বাদে আপনি সব মাছই গ্রহণ করতে পারেন।
মাংস- পোস্ট-প্রেগন্যান্সিতে শরীরকে ফিট রাখতে অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রয়োজন হয়। এছাড়া মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য দরকার প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও আয়রন। এই সময় এক্সট্রা শক্তির জন্য ডায়েটে পছন্দের মাংস রাখতে সদ্যোজাত ও নতুন মায়ের সঠিক খেয়াল রাখা সম্ভাব হবে।
ডাল- ব্ল্যাক বিনস. কিডনি বিনসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ও আয়রন। ফলে ডায়েটের তালিকা ডাল রাখা আবশ্যিক।
বেরিজ- পোস্ট প্রেগন্যান্সিতে সেরা ফল হল বেরিজ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টির গুণ। খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনি নতুন মায়েদের শরীরের জন্য বেরিজ খাওয়া ভাল।
আরও পড়ুন: World Breastfeeding Week 2021: নবজাতককে এই কঠিন রোগগুলি থেকে বাঁচাতে মাতৃদুগ্ধ অপরিহার্য!