এখন কম বয়সেও মহিলারা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্তন ক্যানসার স্তনের কোষ ও টিস্যুতে বিকাশ লাভ করে। কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। যে কোনও ক্যানসারের মতোই, স্তন ক্যানসারও প্রথমে টিউমার হিসেবে দেখা দিতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে, ওই টিউমারই ক্যানসারে পরিণত হয়। আর ক্যানসারের চিকিৎসাও যদি চটজলদি শুরু না করা যায়, তাহলে স্তন থেকে ক্যানসারের কোষ দেহে অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ক্যানসার মানেই যে মৃত্যু এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। সময়মতো রোগ নির্ণয় হলে যে কোনও ক্যানসার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা যায়। স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রেও যদি দ্রুত তা ধরা পড়ে, চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা যায়। কিন্তু তার জন্য আপনাকে স্তন ক্যানসারের লক্ষণগুলো জানা দরকার।
স্তনে মাংসপিণ্ড (লাম্প) গঠন হওয়া, র্যাশ ছাড়া স্তনের চারপাশে চুলকানি, স্তন্যপান না করালেও স্তনবৃন্ত থেকে তরল পদার্থ নির্গত হওয়া, স্তনের পাশাপাশি বাহুমূল ও কলার বোনের তলায় মাংসপিণ্ড গঠন হওয়া, ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা হওয়া স্তন ক্যানসারের লক্ষণ। অনেকের ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসার শেষ পর্যায়ে গিয়ে ধরা পড়ে। তাই সময়মতো স্তন ক্যানসারের পরীক্ষা করানো দরকার।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্তন ক্যানসার উপসর্গহীন হয়। তখনই মূলত শেষ পর্যায়ে গিয়ে স্তন ক্যানসার ধরা পড়ে। তাই আপনি স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছেন কিনা, তা জানা দরকার। সাধারণত দু’বছর অন্তর স্তন ক্যানসারের জন্য স্ক্রানিং করানো দরকার। কিন্তু সেটা সব মহিলা করে উঠতে পারেন না। তবে, আপনি চাইলে নিজেই নিজের স্ক্রানিং করতে পারেন। অর্থাৎ, বাড়িতেই পরীক্ষা করতে পারবেন যে আপনার মধ্যে স্তন ক্যানসারের কোনও ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে কি না। কীভাবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১) আয়নার সামনে দাঁড়ান। কাঁধ সোজা রাখুন। এবার কোমরে হাত দিকে স্তনের দিকে তাকান। এবার দু’হাত উপরে তুলে দেখুন আপনি স্তনের আশেপাশের ত্বকে রঙের কোনও পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন কি না। এমনটা হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
২) আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখবেন আপনার স্তনে অস্বাভাবিকতা রয়েছে কি না। অর্থাৎ স্তনের রং থেকে শুরু করে স্তনের আকৃতি, স্তনবৃন্ত, স্তনবৃন্ত থেকে নির্গত তরল পদার্থ ইত্যাদি। এর মধ্যে কোনও একটি উপসর্গ দেখা দিলে বুঝবেন আপনি স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে রয়েছে।
৩) শুয়ে পড়ুন। এবার আপনার ডান হাত আপনার মাথার পিছনে রাখুন। আপনার বাম হাতের মাঝের আঙুল দিয়ে ডান স্তনের উপর আলতো করে চাপ দিন। স্তনের টিস্যু অনুভব করুন। কোনও শক্ত মাংসপিণ্ড অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনি নিজেই এভাবে চেকআপ করতে পারেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।