উত্তরপ্রদেশে বেশ প্রসিদ্ধ এই বাটারমিল্ক এখন বাঙালি খাজানাতেও প্রবেশ করে ফেলেছে। গ্রীষ্মকালে এই পানীয়ের চাহিদা থাকলে বর্তমানে সারা বছরই বাটারমিল্কের সন্ধান করেন অনেককেই। দুধ দিয়ে তৈরি এই বাটারমিল্ক সাধারণত কোনও মাখন দেওয়া হয় নায ক্রিম থেকে এই সুস্বাদু খাবারটি বানানো হয়। বেশি ঘন নয় কিন্তু অম্লীয় এই পানীয়টি সাদারণত ব্ল্যাক সল্ট ও জিরে মিশিয়ে পান করা হয়। গরমকালে শরীর চাঙ্গা করতে ও মেজাজ ঠিক করতে এক গ্লাস বাটারমিল্কই যথেষ্ট।
প্রাচীনকালে ঘরের বসেই বানানো হত সুস্বাদু বাটারমিল্ক। তবে বর্তমানে মেশিনের মাধ্যমেই এই বাচারমিল্ক তৈরি করা হয়। এর জেরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশের আশঙ্কা থাকে না। বাটারমিল্কে থাকে ভাল ব্যাকটেরিয়া, কার্বোহাইড্রেট ও ল্যাকটোজ থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
দেশের একটি জনপ্রিয় ফ্যাশন ম্যাগাজিনের রিপোর্ট অনুসারে বাটারমিল্ক যেভাবেই তৈরি হোক না কেন অর রয়েছে অনেক গুণাগুণ। নিয়মিত খাবারের সঙ্গে বাটারমিল্ক খেলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে। এটি অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করে ও হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে।
বাটারমিল্কের উপকারিতা
বাটারমিল্ক হল প্রোবায়োটিক। যার অর্থ হল, এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া। অনেকেই হয়তো জানেন না যে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।
ভালো ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলীতে গ্যাস তৈরিতে বাধা দেয়। যার কারণে অ্য়াসিড রিফ্লাক্স প্রতিরোধ করে। বাটারমিল্কের গুণাগুণ ফলে পেটে পুষ্টি দ্রুত হজম হয়।
বাারমিল্কে রয়েছে ভিটামিন ডি। যা ক্য়ালসিয়াম শরীরের মধ্যে প্রবেশে সাহায্য করে। হাড় মজবুত রাখে। এছাড়া মেনোপজের পরে বাটারমিল্ক খাওয়া মহিলাদের জন্যও অত্যন্ত ভাল। প্রতিদিন খালি পেটে অস্টিওপেরোসিসের প্রবণতা কমিয়ে দেয়।
ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাটারমিল্কে বিশেষ জৈব অণু থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা আগের তুলনায় কমিয়ে দিতে সক্ষম। এছাড়া বাটারমিল্কে থাকে নামমাত্র চর্বি। তাই এই পানীয় যে ওজন কমানোর মূল উপাদান তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নিয়মিত গ্রহণ করলে ওজন কমতে বাধ্য়।
আরও পড়ুন: Immune System: শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যে শূণ্য, তা বুঝবেন কীভাবে?