সাইনাসের সমস্যা হলে চোখ, মাথা সব ধরে থাকে। একই সঙ্গে নাকে, কানে সংক্রমণ হয়। বমি, বমি ভাব থাকে, আলোতে সমস্যা হয়- মোটকথা সাইনাসের ব্যথা হলে শরীরে নানা রকম অস্বস্তি লেগেই থাকে। সাইনাস হল নাকের সাধারণ সংক্রমণ। মাথার সঙ্গে নাকের যে যোগসূত্র রয়েছে তাকে সাইনোসাইটিসও বলা হয়। সাইনাস নিজের থেকেই সেরে যায়। শীতকালে এই সাইনাসের সমস্যা সবচাইতে বেশি হয়। তবে সমস্যা বাড়লে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সাইনাসের সংক্রমণ ফেলে রাখলে মস্তিষ্কের হাড় বপর্যন্ত সংক্রমণ ছড়িয়ে যায়। সম্প্রতি পুষ্টিবিদ অঞ্জলি মুখোপাধ্যায় তাঁর ইনস্টাগ্রামে দারুণ কিছু টিপস শেয়ার করেছেন। আর সেখানেই তিনি বলেছেন নিয়মিত ভাবে যদি এই ঘরোয়া টোটকা মেনে চলা যায় তাহলে সাইনাসের সমস্যার সমাধান হবেই। শীতের দিনে এমনিতেই বাড়ে সংক্রমণ জনিত সমস্যা। আর তাই বাঁধাকপির স্যুপ বানিয়ে খেলেই সবচাইতে ভাল।
সাইনাসের লক্ষণ
নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া
নাক দিয়ে জল পড়া
মাথাব্যথা
গলায় চুলকানি, ব্যথা
কাশি
দুর্গন্ধ যুক্ত কফ
যাঁদের ধোঁওয়াতে সমস্যা হয়, যাঁরা ধূমপান ছাড়া থাকরতে পারেন না, যাঁদের ঠান্ডা, ধুলো আর ধোঁওয়াতে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের এই সাইনাসের সমস্যা সবচাইতে বেশি হয়।
সাইনাসে ঘরোয়া প্রতিকার বাঁধাকপির স্যুপ। আদা, পেঁয়াজ দিয়ে বানিয়ে নিলে যেমন কার্যকরী হবে তেমনই খেতেও ভাল লাগবে। ফুলকপি আর বাঁধাকপি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। পেঁয়াজ মাঝারি মাপে কেটে নিন। আদা কুচি করে রাখুন। গোলমরিচ গুঁড়ো করে নিতে হবে। স্প্রিং অনিয়ন টুকরো করে রাখুন। জলের মধ্যে বাঁধাকপি, ফুলকপি ফেলে ফুটতে দিন। আদা কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি, পেঁয়াজ, রসুন কুচি ফেলে দিন। নুন, গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। সাইনাসের জন্য অবর্থ্য ওষুধ হল এই স্যুপ। এছাড়াও তেজপাতা, কারিপাতা, লেটুস এসবও মিশিয়ে নিতে পারেন এই স্যুপে। এছাড়াও যে সব খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে, সর্দি-কাশির উপশম হয় এমন সব খাবারই বেশি করে খেতে হবে। সময়ে স্নান করতে হবে, খেতে হবে, শীতের দিনে বেলায় স্নান একেবারেই চলবে না।