গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিতে আসা মুখতার আনসারির নাম প্রায় সকলের জানা। উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন বিধায়কও ছিলেন তিনি। সম্প্রতি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৬৩ বছর বয়সি এই নেতার। যদিও তাঁর অবস্থা যে এতটা গুরুতর, সেটা প্রথমে বোঝা যায়নি। কিন্তু, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার পর সঙ্গে-সঙ্গে ঠিকমতো চিকিৎসা শুরু না হলে পরিণতি মৃত্যু। সেক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক হলে কিছুটা সময় পাওয়া যায়। ঠিকমতো চিকিৎসা হলে রোগী অনেকদিন বাঁচতে পারে। অর্থাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে ফারাক রয়েছে। কী এই ফারাক জানুন
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী?
কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের অর্থ, হৃৎস্পন্দন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ হার্ট কাজ করা একেবারে বন্ধ করে দেয়। এটা ধীরে-ধীরে হতে পারে বা হঠাৎ করে হতে পারে। এরকম হলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা শুরু করলে রোগী বেঁচে যেতে পারেন অথবা হঠাৎ করে মৃত্যু হতে পারে।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট-এর উপসর্গ
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি মোতাবেক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে সাধারণ কয়েকটি লক্ষণ দেখা দেয়। এগুলি হল- ক্লান্তিভাব, মাথা ঘোরা, সর্দি, প্যালপিটেশন, জ্ঞান হারানো, বুকে ব্যথা।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাকের ফারাক কী?
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাক- দুটো আলাদা ঘটনা হলেও বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। অনেকেই এই দুটো বিষয় একই ঘটনা ভাবেন এবং বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। দুটো ঘটনাই হার্টের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত এবং দুটোরই পরিণতি মৃত্যু হতে পারে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের অর্থ, হার্ট সম্পূর্ণভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আর হার্টে যখন রক্ত সরবরাহ ঠিকমতো হয় না, ধমনীতে ব্লকেজ হয়, সেই অবস্থাকে হার্ট অ্যাটাক বলে।
অর্থাৎ হঠাৎ করে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে অনেক সময়ই চিকিৎসা করার সময় পাওয়া যায় না। তবে হার্ট অ্যাটাক হলে চিকিৎসার মাধ্যমে ধমনীতে ব্লকেজ সরিয়ে দিলে রোগী অনেকদিন সুস্থ হয়ে বাঁচতে পারে।