থাইরয়েডের (Thyroid) সমস্যা নতুন নয়। অল্প বয়সেই এই সমস্যার শিকার হচ্ছেন মানুষজন। থাইরয়েড হল মূলত একটি গ্রন্থি, যা মূলত হৃদস্পন্দন, হজম ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অনেকসময় প্রয়োজনীয় হরমোন তৈরি করা বন্ধ করে দেয় এই গ্রন্থি। আর এই সমস্যাকেই হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism) বলে। আর হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা থাকলে জীবনযাত্রায় লাগাম টানা জরুরি। শুধু ওষুধে কাজ হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে সবার আগে নজর দিতে হবে ডায়েটে। এমন বেশকিছু খাবার রয়েছে যা খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে থাইরয়েড। জেনে নিন তার জন্য ডায়েটে যোগ করবেন কোন-কোন খাবার।
আয়োডিন: থাইরয়েড থাকলে অবশ্যই পাতে যোগ করতে হবে আয়োডিনযুক্ত খাবার। এক্ষেত্রে খেতে পারেন আয়োডিনযুক্ত লবণ। পাশাপাশি খেতে হবে সামুদ্রিক ও দুগ্ধজাত পণ্য। এ ছাড়া খাবেন ডিম।
জিঙ্ক: হাইপোথাইরয়েডিজম নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জিঙ্ক। তাই বেশি করে খেতে হবে জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার। আর তার জন্য খেতে হবে মুরগির মাংস, কুমড়োর বীজ, বাদাম ও লেবু।
সেলেনিয়াম: থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে সেলেনিয়াম নামক খনিজ। থাইরয়েড গ্রন্থিকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এই খনিজ। ব্রাজিলের বাদাম, সামুদ্রিক খাবার (যেমন টুনা, সার্ডিন এবং চিংড়ি), ডিম, লেবু এবং গোটা শস্যতে প্রচুর পরিমাণে সেলেনিয়াম পাওয়া যায়। তাই খেতে পারেন।
ভিটামিন ডি: শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী ভিটামিন ডি। এ ছাড়া থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। তাই বেশি করে ডিমের কুসুম, দুগ্ধজাত পণ্য খান এতে ভিটামিন ডি রয়েছে।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড: এ ছাড়া ডায়েটে যোগ করতে হবে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এই উপাদান। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎসের মধ্যে অন্যতম হল ছোট মাছ। এ ছাড়া খেতে পারেন ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া বীজ, আখরোট এবং শণের বীজ,তাতে উপকার পাবেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।