ব্রেকফাস্ট না করেই অফিসে ছোটেন। অফিসে গিয়েও শান্তিতে লাঞ্চ করার সময় থাকে না। কোনও রকমে নাকে মুখে গুঁজে আবার কাজে মন দেন। ধীরে সুস্থে খাবার খাওয়ার সময় বলতে ডিনার টাইম। রাতেই সময় পান ঠিকমতো খাবার খাওয়ার এবং ভরপেট খাবার খাওয়ার। কিন্তু রাতেই যদি ভুল খাবার খাবেন, তাহলেই বিপদ। রাতে সময় নিয়ে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি সঠিক খাবার খাওয়া দরকার। নাহলেই বেড়ে যেতে পারে কোলেস্টেরল। আজকাল ঘরে ঘরে কোলেস্টেরল। আর পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হল অস্বাস্থ্যকর ডায়েট। যত বেশি ভাজাভুজি, তেল-মশলা যুক্ত খাবার খাবেন, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তেই থাকবে। তার সঙ্গে বাড়বে হার্টের সমস্যা।
১) ডিনারে অনেক সময় বিরিয়ানি, পিৎজা, মাটন খান। এই ধরনের ফ্যাটযুক্ত খাবার রাতে খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এতে অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। এগুলো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার, অত্যধিক চিনি ও নুন যুক্ত খাবার রাতে এড়িয়ে চলুন।
২) রাতের ডায়েটেও সবজি রাখতে হবে। সবজির তরকারি রাখুন। সবজিতে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। সুস্থ থাকার জন্য সবজি রাখতেই হবে পাতে। এতে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশাপাশি এড়াতে পারবেন হজমজনিত সমস্যা, সুগার ও উচ্চ রক্তচাপ।
৩) খাবার খেয়েই বিছানায় শুয়ে পড়বেন না। মেটাবলিজমকে ভাল রাখার জন্য ডিনার করার পর হাঁটাহাঁটি করুন। এতে খাবার দ্রুত হজম হয়ে যাবে। পাশাপাশি কোলেস্টেরল ও সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৪) সময়মতো ডিনার করা জরুরি। রাত ১১টার সময় ভারী খাবার খাওয়া মোটেই ভাল নয়। দেরি করে খাবার খেলে দেহে লেপটিন নামে হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। এই হরমোন দেহে তৃপ্তির বার্তার কাজ করে এবং এর জেরে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। এর প্রভাব সরাসরি কোলেস্টেরলের উপর পড়ে।