Nutrition Tips: শীতের এই ফলগুলি পূরণ করবে আপনার শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়দের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষ ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিনের অভাবে ভুগছেন। অন্যদিকে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মানুষের মধ্যে রয়েছে রক্তাল্পতা এবং অনেকের মধ্যে ভিটামিন বি বা ফোলেটের অভাব রয়েছে।
আমরা শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করি খাবার গ্রহণের মাধ্যমে। কিন্তু সাধারণত আমরা বিবেচনা করি না যে কোন খাবারে কোন পুষ্টি লুকিয়ে রয়েছে। যার ফলে আমাদের শরীরে আদৌও কোনও পুষ্টি ঘাটতি হচ্ছে কি না বুঝতে পারি না। এই ঘাটতিগুলো যখন রোগের রূপ নেয়, অর্থাৎ শরীরে যখন পুষ্টির অভাব দেখা দেয়, তখন আমরা এই বিষয়ে সচেতন হয়, তার আগে নয়।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়দের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষ ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিনের অভাবে ভুগছেন। অন্যদিকে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মানুষের মধ্যে রয়েছে রক্তাল্পতা এবং অনেকের মধ্যে ভিটামিন বি বা ফোলেটের অভাব রয়েছে। শিশু হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক সবার পুষ্টি গ্রহণের ওপর বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। কারণ এই পুষ্টির অভাব ধীরে-ধীরে গুরুতর রোগে পরিণত হয়। পুষ্টির অভাবে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়।
তবে আপনি কি জানেন এই পুষ্টির অভাব মেটানোর উপায়ও রয়েছে? খাদ্যের মাধ্যমে তো আমরা পুষ্টির চাহিদা পূরণ করিই। কিন্তু পুষ্টির অভাব পূরণ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল প্রতিদিন ফল খাওয়া। এখানে এমন কিছু ফলের তালিকা দেওয়া হল, যা প্রতিদিন খেলে আপনি পুষ্টি জনিত যে কোনও রোগ বা শারীরিক সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে পারবেন।
কমলালেবু- এই শীতে কমলালেবু সহজে ও সস্তায় পাওয়া যায়। এই ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে। মহামারির কারণে আমাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার একটি প্রবণতা এসেছে। এর ফলে আমরা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারকে বেছে নিচ্ছি। অন্যদিকে এই কমলালেবু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফোলেটে সমৃদ্ধ। তাই প্রতিদিন একটি করে কমলালেবু খান।
বেদানা- এই শীতের আরেকটি ফল হল বেদানা। এই বেদানাও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ ও ই সহ বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল দ্বারা পরিপূর্ণ। বিশেষত এই ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে। ১০০ গ্রাম বেদানার মধ্যে ০.৩ গ্রাম আয়রন রয়েছে। এই আয়রন সমৃদ্ধ ফল আদতে অ্যানিমিয়ার মত রোগের বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম।
কলা- শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা- সব ঋতুতে, বিশ্বের সব প্রান্তে পাওয়া যায় কলা। খিদে মেটানোর জন্য সহজলভ্য খাবার এবং সুপারফুড হিসাবে বিবেচনা করা হয় কলাকে। এমনকি যাদের মিষ্টি খাওয়ার প্রতি প্রবণতা বেশি, তাদেরকেও সন্তুষ্ট করে এই ফল। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফোলেট রয়েছে যা শরীরে স্বাস্থ্যকর গ্লুকোজের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আপেল- প্রতিদিন একটি আপেল ডাক্তারের থেকে দূরে রাখে- এই কথাটা আমরা সকলেই জানি এবং এটি সত্যি। আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। অ্যানিমিয়া রোগের পাশাপাশি ডায়বেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী আপেল।
স্ট্রবেরি- এই শীতে পাওয়া যাওয়া আরেকটি স্বাস্থ্যকর ফল হল স্ট্রবেরি। এটি দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন সুস্বাদু। তার সঙ্গে এটি পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। স্ট্রবেরির মধ্যে দ্রবণীয় ভিটামিন ও আয়রন রয়েছে। সুতরাং এই ফলগুলিকে খাদ্যতালিকায় রাখুন এবং শরীরে দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদা পূরণ করুন।
আরও পড়ুন: হঠাৎ করেই আপনার সন্তানের দাঁত হলদেটে দেখাচ্ছে? এর পিছনে কোন কারণগুলি দায়ী জেনে নিন