ডিম ভাজা, সেদ্ধ ডিম, ভাপা ডিম, ডিম দিয়ে তৈরি নানান পদের প্রতি যদি অতি দুর্বলতা থাকে তাহলে সাবধান হোন এখনই। বেশি ডিম খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। নিয়মিত ডায়েটে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা। কিন্তু সেই ডায়েটে যদি অতিরিক্ত ডিম খাওয়া শুরু হয় তাহলে তা আদতে আর পুষ্টিকর থাকে না।
এম এস নিউট্রিশনিষ্ট হিদার হ্যাংকস যেমন জানিয়েছেন, প্রতিজদিনের ডায়েটে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে একটি গোটা ডিমই যথেষ্ট। তবে সংখ্যা অনেক খেলে তা খারাপ জিনিসে পরিণত হয়, যার মধ্যে ডিম অন্যতম।
নিয়মিত ডায়েটে কটা করে ডিম খাবেন, কতগুলি খেলে ডিম শরীরের জন্য কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। একটি বড় ডিমের মধ্যে রয়েছে ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। যা ৩০০ মিলিগ্রামের দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী খাবারের অর্ধেকের বেশি। প্রতিদিন জোড়া ডিম খাওয়া ভাল। কিন্তু ফিটনেস প্রশিক্ষকরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন ডিম খেলে লিভারে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এটি একটি বিজ্ঞান। কারণ প্রতিদিন একটি খাবার খেলে সেটির একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকবেই।
অন্যদিকে, শরীরে বাজে কোলেস্টেরল বাড়তে থাকলে স্বাবাবিকবাবেই হৃদরোগের সমস্যাগুলিও পাশাপাশি দেখা দিতে পারে। যদি ডিম না খেয়ে তাকতে না পারেন, তাহলে ডিমের ভিতর কুসুম বা হলুদ অংশটি বাদ দিয়ে খান। কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে কোগীদের ডিমের কুসুম না খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা।
শুধু কী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, তা নয়। হজমশক্তি ব্যাহত করতেও ডিম অনেকখানি দায়ী। গ্যাস, পেটে ব্যাথা, পেট ফোলার মতো সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়া প্রতিদিন ডায়েটে ডিমের পরিমাণ বেশি থাকলে অ্যালার্জির মতো সমস্যাও তৈরি হতে পারে।
ডিমের মধ্যে থাকা ফ্যাট রক্তের শর্করার উপর দারুণভাবে প্রভাব ফেলে। যাঁরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাঁদের ইনসুলিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে সক্ষম। অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে এই ফ্যাট। কার্ডিওভাসকুলার বা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে ডিম না খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা।
প্রসঙ্গত, ডিমে রয়েছে ওমেগা-৩, ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রোটিন। বিশেষজ্ঞদের কথায়, দিনে তিনটি ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। তার বেশি হয়ে গেলেই দেখা দিতে পারে নানান জটিল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।