গরমে ১৮-২০ ডিগ্রিতে এসি না চালালে ঘুম আসে না! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

aryama das |

Apr 08, 2021 | 1:26 PM

গরমে এসির ব্য়বহার এখন ঘরে ঘরে। তাই এসির তাপমাত্রা কত দিলে শরীর ও মন দুটোই তাজা থাকবে সে বিষয়ে অনেকেরই জানা নেই। রাতে ঘুমানোর সময় এসি না চালালে যাঁদের ঘুম হয় না, তাঁদের জন্য রয়েছে সতর্কবার্তা। দেখে নিন কী সেই সতর্কবাণী...

গরমে ১৮-২০ ডিগ্রিতে এসি না চালালে ঘুম আসে না! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের
ছবিটি প্রতীকী

Follow Us

অফিস থেকে ফিরে, সোফায় গা ভাসিয়ে, এসির রিমোট টিপে ২০-২১ ডিগ্রি করে খানিকক্ষণ বসে থাকা, আপনার অভ্যেস। এই গরমে পাখার তলায় নয়, এসির ঠান্ডা হাওয়ায় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হওয়াটা রোজকার ঘটনা।বাইরের প্যাচেপ্যাচে গরম থেকে আরাম পেতে অধিকাংশই এসিকে ২০-২১ ডিগ্রি করে রাখেন। অনেকের আবার তাতে মন ভরে না। ২০ থেকে নামিয়ে ১৮ ডিগ্রিতে সেট করে রাখেন। আবার অনেকেই আছেন, গোটা গ্রীষ্মকালটা ঘরে এসি চলাকালীন গায়ে চাদর দিয়ে ঘুমান। এতে আপনার শরীরের কতটা ক্ষতি করছেন জানেন?

বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত মানুষের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাইরের ২৩ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্ত শরীর সহ্য করতে পারে। একে বলে হিউম্যান বডি টেম্পেরাচার টলারেন্স (human body temperature tolerance)। শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে যখনই ঘরের তাপমাত্রার ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখন মাথা যন্ত্রণা, হাঁচি, জ্বর-জ্বর ভাব উপসর্গ দেখা যায়। ঘরের তাপমাত্রা যখন ১৮-২০-২১ ডিগ্রিতে আনা হয়, তখন আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের চলা রক্তপ্রবাহ দ্রুতবারে বেড়ে যায়। ডাক্তারি ভাষায় একে বলা হয় হাইপোথেরামিয়া (Hypothermia)।

বাইরের থেকে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা হলে শরীরের নানান সমস্যা তৈরি হয়। তার মধ্যে অন্যতম হল বাত (arthritis)। চিকিত্‍সকদের পরামর্শ অনুযায়ী, বাইরের গরম থেকে ঘরে প্রবেশ করার পর, যতক্ষণ গায়ের ঘাম না শুকোচ্ছে, ততক্ষণ এসি চালাবেন না। এছাড়া এসির মধ্যে বেশি সময় ধরে থাকলে শরীর থেকে টক্সিক টক্সিন বাইরে বের হয় না। তাতে শরীরের তাপমাত্রা ও জলের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এছাড়া ত্বকে এলার্জি, চুলকানি, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগেও প্রকোপেও পড়তে পারেন আপনি।

শরীরকে কষ্ট দিতে যদি না চান, তাহলে ঘরের তাপমাত্রা রাখুন ২৫-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাত্‍ এসির ম্যানুয়াল মোডে ২৫-২৭ ডিগ্রি রাখুন। এসির কম্পপ্রেসার যত চাপ কম পড়বে, তত বিদ্যুত্‍ খরচও কম হবে। তাই গরমে পকেট যাতে খালি না হয় তার জন্যও এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।

Next Article