বাড়ি ও বাইরের কাজ একা হাতে সামলে নিজের দিকে তাকান না। হাজার কাজ সামলে নিজের জন্য সময় বের করতে পারেন না অনেক মহিলা। ধীরে ধীরে শরীরও ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। কায়িক পরিশ্রম করার ক্ষমতা হারাচ্ছেন। মেজাজও সারাক্ষণ খিটখিটে হয়ে রয়েছে। এগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম না নেওয়ার ফলে হচ্ছে না। অনেক সময় দেহে সুগার লেভেল বেড়ে গেলেও এই ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। ডায়াবেটিসের লক্ষণ পুরুষ ও মহিলাদের দেহে ভিন্ন হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে মহিলাদের দেহে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। সেগুলো কী-কী, জেনে রাখুন।
১) রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে বার বার প্রস্রাবের বেগ আসে। ঘন ঘন বাথরুম যেতে হয়। মহিলাদের মধ্যে এই উপসর্গ কমন।
২) কায়িক পরিশ্রম না করার পরও শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। বিছানায় শোয়া মাত্র ঘুমিয়ে পড়েন। ক্লান্ত শরীর ডায়াবেটিসের লক্ষণ।
৩) দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগলে চোখের সমস্যা দেখা দেয় দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হতে শুরু করে। মহিলাদের এই সমস্যা একটু বেশি দেখা যায়।
৪) কোথাও কেটে গেলে রক্ত বন্ধ হয় না। পাশাপাশি ওই ক্ষত সেরে উঠতে অনেক সময় নেই। এই ক্ষত যদি পায়ে হয়, তখন আরও দুর্ভোগ। ডায়াবেটিসে পায়ের ক্ষত একেবারেই সারতে চায় না। বরং, সংক্রমণের সম্ভাবনা দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
৫) রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে মূত্রনালির সংক্রমণ হতে পারে। বার বার প্রস্রাব হয় এবং এখান থেকে ইউটিআই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার যোনি এলাকায় ছত্রাকঘটিত সংক্রমণের হারও বেড়ে যায়।
৬) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে যৌন মিলনে অনীহা দেখা দেয়। দেহে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় এবং যোনি অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। এতে দেহে সেক্স করার ইচ্ছে থাকে না কিংবা সেক্সের সময় ব্যথা অনুভূত হয়।
৭) আজকাল বেশিরভাগ মেয়েদের মধ্যে খুব কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, পিসিওডি ও পিসিওএস। রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করলেও ঋতুস্রাব সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দেয়।
8) হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যাওয়াও কিন্তু ডায়াবেটিসের লক্ষণ। এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিন এবং চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।