World Thalassaemia Day: অজান্তেই শরীরে থাবা থ্যালাসেমিয়ার? প্রথম থেকে এই সব উপসর্গ এড়িয়ে যাবেন না
Thalassaemia Symptoms: শরীরে রক্ত কমে যাওয়া, ক্লান্তি, দুর্বলতা হল থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ

থ্যালাসেমিয়া রক্তের একটি ব্যাধি যা সম্পর্কে খুব মানুষই জানেন। বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা এখন আবশ্যক। যদিও অনেকে তা করান না। বিবাহের আগে কিংবা সন্তান ধারণের পূর্বে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করে রাখা আবশ্যক। নইলে পরবর্তী প্রজন্মকে অনেক রকম সমস্যায় ভুগতে হয়। থ্যালাসেমিয়ার বাহক হলে চিকিৎসকেরাও সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকেন। থ্যালাসেমিয়া বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে এবং রোগ বিষয়ে মানুষকে জানাতেই প্রতি বছর ৮ মে দিনটি বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস হিসেবে পালন করা হয়। থ্যালাসেমিয়ার দিক থেকে এখনও আক্রান্তের সংখ্যা বেশি এদেশেই। থ্যালাসেমিয়া মূলত দু ধরণের হয়ে থাকে তেমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
থ্যালাসেমিয়া কি?
থ্যালাসেমিয়া হল রক্তের একটি জেনেটিক ব্যাধি যেখানে হিমোগ্লোবিন অস্বাভাবিকভাবে তৈরি হয়। সাধারণত একটি অটোসোমাল রিসেসিভ পদ্ধতিতে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত একটি বছর,যার অর্থ যদি মা এবং বাবা উভয়েই এই অসুখে ভোগেন এবং বাহক হন, তবে সন্তানও থ্যালাসেমিয়ার বাহক হবে। থ্যালাসেমিয়ায় স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন কমে যায় যা রক্তাল্পতা এবং আরও অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণ।
থ্যালাসেমিয়া মাইনর কি?
থ্যালাসেমিয়া মাইনর হল উত্তরাধিকার সূত্রে একটি থ্যালাসেমিয়ার জিন পাওয়া। মাইনর থ্যালাসেমিয়া হলে সাধারণ জীবনযাপনে কোনও রকম বাধা থাকে না। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলতে হবে। কারণ দেখা গিয়েছে যাঁদের থ্যালাসেমিয়া মাইনর থাকে পরবর্তীতে তাঁদের সন্তানের মধ্যে থ্যালাসেমিয়ার জিন অনেক বেশি পরিমাণে দেখা যায়। সেই সঙ্গে জিন সংক্রমণের সম্ভাবনাও বেশি থাকে। এই দুই থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে প্রধান লক্ষণ হল- ক্লান্তি, ত্বক বিবর্ণ হয়ে যাওয়া এবং প্লীহা বেড়ে যাওয়া।
