আজকাল কমবেশি আমরা সবাই কোমর ব্যথায় ভুগে থাকি। কখনও তা অফিসে বা বাড়িতে ভুলভাবে বসার কারণে। কখনও আবার রাতে ভুলভাবে শোয়ার কারণে। তবে বেশিরভাগ সময়ই ব্যথা উপশমের চটজলদি ওষুধ খেয়ে বা মলম লাগিয়ে আমরা ঝটপট সমাধান খুঁজি।
সাময়িকভাবে তা কমলেও, পরে আবার ফিরে আসে, কিন্তু জানেন কি, শুধুমাত্র ভুলভাবে বসা বা শোয়ার জন্যই এমনটা হয় না। কোমর ব্যথার নেপথ্যে থাকতে পারে আপনার মানি ব্যাগ। হ্যাঁ, বিশেষত পুরুষদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তা প্যান্টের ব্যাক পকেটে মানি ব্যাগ রাখলে কী কী ক্ষতি হচ্ছে?
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই বিষয়টি নিয়ে একটি রিসার্চ করেন। যেখানে দেখা গিয়েছে, প্যান্টের পিছনের পকেটে মানি ব্যাগ রাখার ফলে বহু মানুষই কোমর ব্যথায়, পায়ের ব্যথায়, এমনকী গোটা পিঠেও ব্যথা অনুভব করেন। চিকিৎসকদের কথায়, ঠিক যেখানে ব্যাক পকেট থাকে, অর্থাৎ আমরা ঠিক যেখানে মানি ব্যাগ রাখি। সেখানে সায়াটিক স্নায়ু থাকে। পকেটে মানি ব্যাগ রেখে আমরা বাস, অটোতে ঘুরে বেড়াই। দীর্ঘক্ষণ ওভাবেই বসে থাকে। এর ফলে সায়াটিক স্নায়ুর উপর বা সংশ্লিষ্ট পেশির উপর চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন সেই চাপ পড়তে পড়তেই স্নায়ুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে কোমরে, শিরদাঁড়ায় ব্যথা হয়। এর ফলে কোমরে ব্যথা এবং হাড়ের সমস্যা দেখা যায়।
এই সমস্যা থেকে কীভাবে বাঁচবেন?
প্রথমেই ব্যাক পকেটে মানি ব্যাগ রাখার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। তাহলেই আর্ধেক কাজ হাশিল।
হালকা জিনিস-পত্র বা কাগজ বা কলম রাখতে পারেন ব্যাক পকেটে। বরং মানি ব্যাগ রাখুন সামনের পকেটে কিংবা কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে। এতে কিন্তু আপনার মানি ব্যাগও সুরক্ষিত থাকবে।
ব্যথা হলেই টুক করে ওষুধ খাবেন না। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
গরম হোক বা শীত। উষ্ণজলে স্নান করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে জলে একটু নুন ফেলে নিন, দেখবেন উপকার পাবেন।
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পেশি পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠবে। সমস্যাও ঝটপট দূর হবে।
ব্যথা হলে, একটা কাপরে কয়েকটা বরফের টুকরো রেখে ব্যথার জায়গার রাখুন। দেখবেন এতেও আরাম পাবেন।