বাজার, সুপার মার্কেট থেকে শুরু করে অনলাইন সর্বত্রই এখন অক্সোটিক সবজির রমরমা। আর এই সবজির তালিকায় রয়েছে সুইট কর্ন, বেল পেপার, লেটুস, বেবি কর্ন, চেরি টম্যাটো, মাশরুম এই সব সবজি। এই সব সবজির যে উপকারিতা নেই তা নয় তবে এর থেকেও অনেক বেশি খনিজ, ভিটামিন রয়েছে আমাদের চেনা গ্রাম্য সবজিতে। রোজকার বাজারে বিক্রি হওয়া লাউ, পেঁপে, কুমড়ো, ঢ্যাঁড়শ, পটল এসব খেতে অনেকেরই অনীহা থাকে। তবে এই সব সবজি পুষ্টিতে ভরপুর। তেমনই একটি হারিয়ে যাওয়া সবজি হল চালকুমড়ো। এই প্রজন্মের অনেকেই চালকুমড়ো চেনেন না। চালকুমড়ো আর লাউ এর মধ্যে সঠিক ফারাকও করতে জানেন না। এছাড়াও এখনও অনেক মহিলা চালকুমড়ো কাটেন না। কারণ চালকুমড়ো, আখ যেহেতু বলি দেওয়া হয় সেই কারণে মেয়েরা তা দু ভাগ করেন না।
চালকুমড়োর অনেক উপকারিকা রয়েছে। গরমের দিনে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে এই সবজির জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত এই চালকুমড়োর রস খেলে অন্ত্র থেকে যাবতীয় টক্সিন বেরিয়ে আসে। সেই সঙ্গে কিডনির পাথর ভেঙেও দু’টুকরো হয়ে যায়। এছাড়াও বানিয়ে খেতে পারেন তরকারি হিসেবে। অনেকে আবার চালকুমড়ো দিয়ে মিষ্টিও বানিয়ে খান। আর কী কী কাজে লাগে চালকুমড়োর রস
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ভাব কমাতেও সাহায্য করে চালকুমড়ো। ডাল কিংবা তরকারি বানিয়েও রোজ খাওয়া যায় চালকুমড়ো। এতে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কিডনির পাথরকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় এই চালকুমড়ো।
ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যেও খুব ভাল সবজি চালকুমড়ো। রোজ ডালকুমড়োর তরকারি খেলে রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সুগার রোদীদের জন্য খুব ভাল সবজি হল চালকুমড়ো।
এই গরমে শরীর, পেট ঠাণ্ডা রাখতে জুড়ি মেলা ভার চালকুমড়ো। নারকেল, চালকুমড়ো আর মটর দিয়ে খুব ভাল তরকারি বানানো যায়। জিরে, আদা দিয়ে চালকুমড়োর হালকা তরকারিও বানিয়ে খেতে পারেন। চিলকুমড়োর মধ্যে অনেকটা জল থাকে। ফলে শরীরে জলের অভাব কখনও হয় না। এছাড়াও নিয়মিত চালকুমড়ো খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে।
চালকুমড়োর মধ্যে থাকে অ্যাফ্রোডিসিয়াক, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখে। বীর্যের গুণগত মান উন্নত করতেও ভূমিকা আছে এই চালকুমড়োর।