ডায়াবেটিস ধরা পড়লে এর থেকে বাঁচার কোনও উপায় নেই। বরং, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আপনাকে লাইফস্টাইলে বদল আনতে হবে। এমন কোনও কাজ করা যাবে না, যার জেরে সুগার লেভেল বেড়ে যায়। সুগারকে নিয়ন্ত্রণে না রাখলে এখান থেকে আপনার চোখ, কিডনি, ত্বক এমনকি হার্টও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মানসিক চাপ কম নেওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম, শরীরচর্চা সবই জরুরি ডায়াবেটিসে সুস্থ থাকার জন্য। আরও জরুরি হল খাওয়া-দাওয়া।
জাঙ্ক ফুড থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। তবে, সুগারে ভাত-রুটি বন্ধ করার বিশেষ দরকার নেই। বরং, ডায়েটে যত বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখবেন, ততই উপকার হবে আপনার। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ওজনকে বশে রাখতে সাহায্য করে ফাইবার। এমনকি হজমশক্তিও উন্নত করে এই উপাদান। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরে রাখে ফাইবার। ডায়াবেটিসে সুস্থ থাকার জন্য এই পুষ্টি অপরিহার্য। কিন্তু ফাইবারের ঘাটতি মেটাতে কোন-কোন খাবার রোজ খাবেন? রইল টিপস।
আপেল: আপেলের বিকল্প কিছু নেই। ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে শুরু করে হজমের গোলমাল দূর করা এবং সুগারকে বশে রাখার ক্ষেত্রে উপযোগী আপেল। আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
বাদাম: আমন্ড, আখরোট থেকে শুরু করে পিনাট, যে কোনও বাদামই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিসে রোজ বাদাম খেলে সুগার নিয়ে বেশি চিন্তা থাকে না। পাশাপাশি একাধিক রোগ ও সংক্রমণের ঝুঁকিও কমানো যায়।
ওটস: জলখাবারে ওটস খান। এতে ফাইবারের পাশাপাশি ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ওটসের মধ্যে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে, যা বিটা গ্লুকান নামে পরিচিত। এই ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা ও খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কলা: খিদে মুখে স্ন্যাকস হিসেবে কলা খান। এই ফলের মধ্যে ফাইবারের পাশাপাশি ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ ও পটাশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও কলায় প্রোটিন রয়েছে। এই ফল সুগারের রোগীরা খেতে পারেন। এতে প্রেশারও বশে থাকবে এবং কাজ করার এনার্জি পাবেন।
শাকসবজি: ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙে, পটল, কুমড়ো, বিট, গাজরের মতো আনাজে ফাইবার রয়েছে। যে কোনও ধরনের শাকেও আপনি ফাইবার পেয়ে যাবেন। ডায়াবেটিসে সুস্থ থাকার জন্য শাকসবজি অবশ্যই পাতে রাখুন।