দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ঘন ঘন হাত ধোওয়ার মত বেসিক বিষয়গুলি মেনে চলা, স্বাস্থ্য়কর খাদ্যাভাস ও ফিটনেস রুটিন মেনে চলা সংক্রমণকের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
শরীর মজবুত ইমিউন সিস্টেম যে কোনও শক্তিশালী ও প্রভাবশালী সংক্রামক স্ট্রেন ওমিক্রনের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাড়িতে রান্না করা খাবার, ফাইবার ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, সবুজ শাক-সবজি এবং ফলমূলের মতো মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ডায়েটিশিয়ান রুচি পারমার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবারের পরামর্শ দিয়েছেন। আর সেই খাবারগুলি কী কী, তা দেখে নিন একনজরে…
ঘি- সবচেয়ে সহজে হজমযোগ্য ফ্যাটগুলির মধ্যে একটি যা শরীরে তাপ তৈরি করে এবং আপনাকে উষ্ণ রাখে। এটি আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করা একটি দুর্দান্ত জিনিস হবে।
আমলা- এটি একটি মরশুমি খাবার, যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে নিয়মিত কাঁচা আমলা বা আমলা জুস খান। তাতে সমস্ত রোগ ও অসুস্থতা দূরে চলে যায়।
বাজরা- এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফইবার। কম গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে, যেটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও একটি আদর্শ খাদ্য করে তোলে। শুধুমাত্র আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভাল এবং আপনার রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
আদা- এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য গলা ব্যথা সারাতে সাহায্য করে। এটি জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অত্যন্ত কার্যকর। আপনার চা বা কাদায় প্রতিদিন এটি যোগ করলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকবে।
হলুদ- এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এটি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে কাশির সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ১ চা চামচ হলুদ নিন, এক গ্লাস গরম জলের মধ্যে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান।
মধু- প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হজম ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, এটি গলা ব্যথার জন্যও কার্যকর। ওমিক্রনের সঙ্গে লড়াই করতে এটি আপনার আদা চা বা কাদায় যোগ করুন।