ডিনারেও চাই মাছ-মাংস-ডিম! নতুন প্রজন্মকে সতর্কবার্তা গবেষকদের

aryama das |

May 04, 2021 | 10:23 PM

রাতের খাবারে মাংসের কারি, নইলে মাছের যে কোনও পদ, কিংবা ডিমের ওমলেট না থাকলে অনেকেরই ঘুম আসে না। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে এই অভ্যাস অনেক বেশি পরিচিত। এমনটা যদি চলে, তাহলে সাবধান হোন এখনই।

ডিনারেও চাই মাছ-মাংস-ডিম! নতুন প্রজন্মকে সতর্কবার্তা গবেষকদের
ডিনারেও চাই মাছ-মাংস-ডিম! নতুন প্রজন্মকে সতর্কবার্তা গবেষকদের

Follow Us

বার্মিংহামের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বেশ কিছু খাবারের উপর গবেষমা চালিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। নৈশভোজের জন্য কোন কোন খাবারগুলি শরীরে ক্ষতি করে, বিশেষ করে হার্টের উপর কতটা প্রভাব ফেলে তা নিয়ে একটি বিস্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলেছে। নয়া গবেষণায় প্রমাণিত যে সারাদিনের পর ব্রাঞ্চে যে খাবার খাওয়া হয়, তা থেকে অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরের মধ্যে বৃদ্ধি করে। তাতে হৃদরোগের নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। রেড মিট, হাঁস-মুরগির মাংস, মাছ, ডিম ও বাদাম-জাত খাবারে অ্যামিনো অ্যাসিডের উত্‍স পাওয়া গিয়েছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, রাতের খাবারের সময় এইধরণের খাবার খেলে কার্ডিমায়োসাইটের মতো রোগ ৭৫ শতাংশ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। প্রতি রাতে মাছ-ডিম-মাংস খেলে হৃদরোগের নানান সমস্যা বাড়তেই থাকে, অজান্তে। কার্ডিওবাসকুলার ডিজিজের ইউএবি বিভাগের অধ্যাপক মার্চিন উংয়ং জানিয়েছেন, আমাদের গবেষণার মূল লক্ষ্যই ছিল, রাতের খাবারের পর প্রাণীজ খাদ্যবস্তু খাওয়ার পর শরীরের কোষের অবস্থান কেমন হতে পারে। এর জেরে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ও আচরণের উপর কতটা প্রভাব পড়ে। এই গবেষণায় এটা প্রমাণিত, ডিনারে বা দিনের শেষে ব্রাঞ্চে রেড মিট, হাঁস-মুরগি, ডিম, মাছ, বাদাম জাতীয় খাবার খেলে হৃদরোগ তো বটেই শরীরে ওবেসিটি, ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের বাস বাধতে পারে। আর এই প্রসঙ্গে নয়া প্রজন্মের স্বাস্থ্যের কথা ও সচেতনতার উপর সতর্কবার্তা দিয়েছেন গবেষকরা।

তাহলে সকালে এই জাতীয় খাবার খাওয়া অনেক সুরক্ষিত? বিজ্ঞানী ইয়ং জানিয়েছেন, প্রাতঃরাশে প্রোটিন বেশি খাওয়া উচিত। নেশভোজে তা অনেক কম পরিমাণে খাওয়া প্রয়োজন। এই গবেষণার উপর ভিত্তি করে বলা যেতে পারে হৃদরোগের রোগীরা প্রোটিনের পরিমাণ ও বিশেষত বিসিএএ-র পরিমাণ ডিনারের থেকে এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

Next Article