শরীর তখনই সুস্থ থাকে যখন পেট ঠিক থাকে। পেট ঠিক না থাকলে কিংবা হজমের গোলমাল হলে সেখান থেকে হতে পারে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। এমন অনেক রোগ সমস্যা থাকে যার প্রধান লক্ষণ কিন্তু গ্যাস অম্বল। বেশিরভাগ বাঙালি বাড়িতেই প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা হল অ্যাসিডিটি। এমন কোনও মানুষ নেই যাঁর পেটের সমস্যা হয় না। এই অ্যাসিডিটির সমস্যার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী কিন্তু আমাদের রোজকারের জীবনযাত্রা। রোজ অতিরিক্ত পরিমাণে তেল-মশলাদার খাবার খাওয়া, ফাস্টফুড খাওয়া, কোল্ড ড্রিংক বেশি পরিমাণে খাওয়া এসবই কিন্তু বাড়িয়ে দেয় অন্ত্রের সমস্যা। আর তাই রোজকার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা কিন্তু ভীষণ ভাবে জরুরি। আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাবসার (Dr Dixa Bhavsar) সম্প্রতি তাঁর ইন্সটাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানেই তিনি বলেছেন কিছু অভ্যাস পরিত্যাগ করার কথা। আর এই সব অভ্যাস ছাড়তে পারলেই কমবে পেটের সমস্যা, গ্যাস-বদহজম। আর তাই রোজকার রুটিনে এই ভুলগুলি আজ থেকেই এড়িয়ে চলুন।
রাতে দই নয়
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী দই। আর তাই রোজকার পাতে দই খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। দই খাওয়ার উপযুক্ত সময় হচ্ছে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত। বিকেলের পর টকদই খাবেন না। বিশেষত রাতে। অনেকেই রাতে রুটি, পরোটার সঙ্গেও টকদই খান। যা আমাদের শরীরের জন্য ভাল নয়। দই খেলে কফ, পিত্তর সমস্যা বাড়ে। সেই সঙ্গে ভুগতে পারেন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাতেও।
দুপুর ২ টোর পর ফাস্ট ফুড নয়
আর্য়ুবেদ বলছে দুপুর ২ টোর পর কোনও ভারী খাবার বা ফাস্টফুড খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এই সময় পিৎজা, গার্লিক ব্রেড, বার্গার, চিপস, মোগলাই, চাউমিন এসব খেলে থেকে যায় গ্যাস অম্বলের সম্ভাবনা। এছাড়াও দিন্র পর দিন যদি দুপুর ২ টোর পর খাবার খান তাহলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা অবধারিত ভাবে আসবেই। আর তাই দীক্ষা ভাবসারের পরামর্শ দুপুরের খাবার ২ টোর মধ্যে খান। যত দেরি করে লাঞ্চ করবেন ততই কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
নিয়মিত হাঁটা জরুরি
দুপুরের খাবার খেয়েই কাজে বসবেন না কিংবা শুয়ে পড়বেন না। অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাচলা করুন। তবে এই ৩০ মিনিট যে খুব দ্রুত হাঁটবেন তাও কিন্তু নয়। তাহলে খাবার হজম হবে না। ধীরে হাঁটুন। কিন্তু হাঁটুন। ঠিক তেমনই রাত ৯ টার মধ্যে ডিনার সেরে ফেলুন। ডিনারের ১ ঘন্টা পর ৩০ মিনিট হেঁটে তারপর ঘুমোন।
ডিনার সেরে ৩ ঘন্টা পুর ঘুমোন
সারাদিন শরীরের উপর প্রচুর ধকল যায়। আর তাই রাতে শরীরের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। আর তাই এই সময়টা নিজের জন্য রাখুন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফোন ঘাঁটবেন না। প্রয়োজনে স্নান সেরে ঘুমোতে পারেন। এতে শরীর-মন ভাল থাকে।