Diabetes Care: সুগার থেকে খারাপ হতে পারে কিডনি, চোখ; ডায়াবেটিসের রোগীরা সঠিক লাইফস্টাইল মেনে চলছেন তো?

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Aug 30, 2022 | 11:23 AM

দেশজুড়ে ৭৭ মিলিয়ন মানুষ টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হন, তাহলে আপনার জন্য রইল এই ৬টি লাইফস্টাইল টিপস।

Diabetes Care: সুগার থেকে খারাপ হতে পারে কিডনি, চোখ; ডায়াবেটিসের রোগীরা সঠিক লাইফস্টাইল মেনে চলছেন তো?

Follow Us

ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য সঠিক লাইফস্টাইল মেনে চলা ভীষণ জরুরি। কারণ রক্তে শর্করার মাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে শরীরে নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, ১৩ শতাংশেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ডায়াবেটিসকে সঙ্গে নিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন। অন্যদিকে, ৩৪.৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ রয়েছেন প্রিডায়াবেটিস পর্যায়ে। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে রয়েছেন। যদিও এই সমীক্ষার ফলাফল শুধু আমেরিকানদের মধ্যে করা হয়েছিল। আমাদের দেশেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাটা কম নয়। ভারতে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ মিলিয়ন ছাপিয়ে গিয়েছে। যদি এর কারণ ব্যাখ্যা করা হয় তাহলে প্রথমেই উঠে আসবে অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা। লাইফস্টাইল এবং খাওয়া-দাওয়ার কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এই অবস্থাকে হাইপারগ্লাইসেমিয়া বলা হয়। আপনি যদি প্রিডায়াবেটিস পর্যায়ে থাকেন কিংবা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকেন, তাহলে অবশ্যই এই নিয়মগুলো মেনে চলুন।

নিয়মিত ব্যায়াম: সুস্বাস্থ্যের মোক্ষম দাওয়াই হল প্রতিদিন যোগব্যায়াম করা। নিয়মিত ব্যায়াম বা ওয়ার্কআউট করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ইনসুলিন সংবেদনশীলতাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। বেশিরভাগ চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়ার পর হাঁটার পরামর্শ দেন। এই উপায়েও আপনি সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। এছাড়াও আপনি দৌড়ানো, সাইকেলিং, জগিং, সাঁতার কাটার মতো কাজগুলোও করতে পারেন।

কার্বোহাইড্রেটের গ্রহণের মাত্রা ঠিক রাখুন: রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কার্ব ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীর কার্বোহাইড্রেট ভেঙে শর্করায় পরিণত করে এবং তারপরে ইনসুলিন শরীরকে শক্তির জন্য সেটি ব্যবহার করতে এবং সংরক্ষণ করতে সহায়তা করে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ডায়াবেটিসের রোগীরা সারাদিনে কতটা পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট-যুক্ত খাবার গ্রহণ করছে তার দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।

প্রচুর পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ করুন: রক্তে অতিরিক্ত শর্করাকে শোষণ করতে সাহায্য করে ফাইবার। এতে বিপাক ক্রিয়াও ধীরে ধীরে ট্র্যাকে চলে আসে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের খাদ্যতালিকায় উচ্চ পরিমাণে ফাইবার রাখতে হবে। এর জন্য আপনি সবুজ শাকসবজি, ফল, ওটস, বাদাম, ডালিয়ার মতো গোটা শস্য।

মানসিক চাপ কমান: অনেক সময় লাইফস্টাইল ঠিক রেখেও রক্তে সুগার ধরা পড়ে। এর নেপথ্যে রয়েছে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ। মানসিক চাপে থাকলে গ্লুকাগন এবং কর্টিসল নামের দুটো হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই হরমোন দুটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। মানসিক চাপ কমানোর জন্য যোগাসন করুন।

পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি: সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম ভীষণ জরুরি। শুধু তাই নয়, সেই ঘুমের মানও উন্নত হতে হবে। অনিদ্রার সময় শরীরে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। খারাপ ঘুমের অভ্যাস ইনসুলিনের সংবেদনশীলতাকেও প্রভাবিত করতে পারে এবং ওজনও বেড়ে যায়।

ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার খান: ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম উভয়ই রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই মিনারেলগুলো শরীরে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে। এই মিনারেলের ঘাটতি পূরণের জন্য আপনাকে খাদ্যতালিকার উপর নজর দিতে হবে।

Next Article