Superfood: ডিমকে কেন সুপারফুড বলা হয়? ডিম খেলে কি ওজন কমে?
Egg Superfood: বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিটনেস ধরে রাখতে চাইলে ডিম অবশ্যই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন। একটি বড় ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা পেশি শক্তির জন্য উপকারী। এছাড়া এটা স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। যাঁরা দেহের ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের জন্যও ডিম উপকারী।

প্রোটিনের অন্যতম উৎস হল, ডিম। তাই ডিম দিয়ে ব্রেকফাস্ট দারুণ স্বাস্থ্যকর। ডিমে উপস্থিত প্রোটিন, ভিটামিন ও বিভিন্ন খনিজ আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে সুস্থ ও সবল রাখে। তাই ডিমকে বলা হয়, সস্তার এবং সহজলভ্য সুপারফুড। ডিম সব বয়সের মানুষের জন্য ভাল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিটনেস ধরে রাখতে চাইলে ডিম অবশ্যই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন। একটি বড় ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা পেশি শক্তির জন্য উপকারী। এছাড়া এটা স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। যাঁরা দেহের ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের জন্যও ডিম উপকারী।
ভিটামিন ও মিনারেলের ভান্ডার
ডিম প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। ডিমের কুসুমে প্রচুর প্রোটিন থাকে। এতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
প্রোটিন- ডিমের কুসুমে প্রায় ২.৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা আমাদের পেশি বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। প্রোটিন শরীরের পেশির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লুটেইন- ডিমে থাকা লুটেইন আমাদের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে এবং আমাদের স্মৃতিশক্তিকে তীক্ষ্ণ করে।
ভিটামিন ডি- ডিমে উপস্থিত থাকে ভিটামিন-ডি। হাড় মজবুত করার জন্য ভিটামিন ডি অপরিহার্য। এটি হাড়কে সুস্থ ও মজবুত রাখে।
ভিটামিন এ- ডিমের কুসুমে পর্যাপ্ত মাত্রায় ভিটামিন-এ রয়েছে, যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড- ডিমে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইমিউনিটি সিস্টেম- ডিম সেলেনিয়াম এবং প্রোটিনের পাশাপাশি ভিটামিন এ, ডি, ই এবং বি১২ সমৃদ্ধ, যা আমাদের শরীরকে রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
ওজন কমানো- ডিম খাওয়ার পর দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষিধে পায় না। যার ফলে আপনি কম ক্যালোরি গ্রহণ করেন। ডিমে সঠিক পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা আপনার পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ডিম একাধিক পুষ্টিগুণের অধিকারী হলেও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই সকলের ডিম খাওয়ার চিকিৎলকের পরামর্শ নেওয়া উচিত নয়।





