আজকাল অনেক পুরুষই ভুগছেন ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের সমস্যায়। সঙ্গমের সময়ে অনেক পুরুষের লিঙ্গের দৃঢ়তা থাকে না। একই সঙ্গে তাঁদের মধ্যে যৌন উত্তেজনাও কম থাকে। এই সমস্যাকেই ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বলা হয়। পুরুষরাই পুরুষত্বহীনতায় ভোগেন। কোভিড পরবর্তী সময়ে বেড়েছে এই সমস্যা। শারীরিক ও মানসিক দুই কারণই এর জন্য দায়ী। তবে এই নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। অনেক সময় কোলেস্টেরল বাড়লেও তার ইঙ্গিত দেয় এই ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের সমস্যা। শরীরে যদি হঠাৎ করে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে লিঙ্গের মধ্যে যে সূক্ষ্ম স্নায়ু থাকে সেখানে রক্ত প্রবাহ অনেক কমে যায়। আর এর ফলেই লৃঙ্গ তার দৃঢ়তা হারিয়ে ফেলে। এমন সমস্যা অনুভব করলে চেপে না রেখে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
কীভাবে চিকিৎসা করবেন?
ইরেক্টাইল ডিসফাংশনও একরকম শারীরিক সমস্যা। আর তাই এই সমস্যা নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার বা লুকনোর কোনও কিছু নেই। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে সব রোগেরই উপশম হয়। যদি উচ্চ কোলেস্টেরল এই সমস্যার জন্য দায়ী হয় তাহলে আগে সেই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। কোলেস্টেরল বাড়লে একাধিক সমস্যা হয়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে যায়।
কীভাবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আনবেন?
কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল আমাদের রোজকারের জীবনযাত্রা। আর তাই প্রথমেই খাওয়া-দাওয়া আর সেই জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। সেই সঙ্গে রোজ শরীরচর্চা করা, অ্যালকোহল, তামাক, ধূমপান থেকে একেবারে দূরে থাকা, যে কোনও রকম নেশা বাদ দিতে হবে। রোজকার খাবারের থেকে ঘি, মাখন, তেল, ক্রিম, কেক, বিস্কুট, রেড মিট, চর্বিযুক্ত মাংস এসবও খাওয়া চলবে না। পরিবর্তে ব্রাউন রাইস, অলিভ অয়েল, গোটা শস্য, সামুদ্রিক মাছ, মাল্টিগ্রেন রুটি, বিভিন্ন বাদাম, বীজ, ফল, শাকসবজি এসব খেতে হবে।
এই সমস্যার জন্য কি কোনও ওষুধ আছে?
বিশেষজ্ঞরা এই সমস্যায় সিলডেনাফিল নামের একরকম ওষুধ দেন। যা চলতি ভাষায় ভায়াগ্রা নামে পরিচিত। তবে ৩০-৪০ শতাংশের ক্ষেত্রে এই থেরাপি কোনও কাজে আসে না। লিঙ্গের মধ্যে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত পৌঁচ্ছয় সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ভায়াগ্রা লিঙ্গে রক্ত প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে লিঙ্গ চট করে শিথিল হয়ে যায় না। তবে হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস, ওবেসিটি থাকলে সেখান থেকেও ইরেক্টাইল ডিংফাংশন হতে পারে।