দুটো ডোজ সম্পূর্ণ করার পরও কি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে? এর উত্তর হল হ্যাঁ। কারণ আপনি যে ভ্যাকসিনই গ্রহণ করুন না কেন, কোনটাই ১০০ শতাংশ দাবি জানায় না যে, আপনি এরপর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না। ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ সম্পূর্ণ করার পর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকে। মৃত্যুর আশঙ্কাও কমে যায়। ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও শারীরিক অবস্থা চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে না। অন্যদিকে, করোনা ভাইরাসের লক্ষণ গুলিও অনেক কম হবে। অর্থাৎ আপনি ভ্যাকসিনেটেড হলে কমে যাবে আপনার মৃত্যুর ঝুঁকি।
এখানে আরও একটি বিষয় রয়েছে, তা হল টিকাকরণের পরেই মুহূর্ত থেকেই এটি শরীরে কাজ করা শুরু করে না। টিকাকরণের পর প্রায় দু সপ্তাহ সময় শরীরে করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হতে। তাই টিকাকরণের পর শরীরকেও সেই সময় দিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার। এখানেও যদি আপনি প্রশ্ন করেন যে টিকাকরণের পর দিন আপনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন কিনা? তাহলে এর উত্তরও হ্যাঁ’ই হবে। আর কারণেই টিকাকরণের পরেও আপনাকে করোনা বিধি মেনে চলতে হবে।
টিকাকরণের পরেও সম্ভাবনা তো রয়েছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কিন্তু তার লক্ষণ গুলি কি এক? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে টিকাকরণের দুটি ডোজ সম্পূর্ণ করারও একাধিক মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। দেখা যাচ্ছে একাধিক লক্ষণও। কিন্তু সেই লক্ষণ গুলি একটু আলাদা। যাঁরা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের একটাও ডোজ নেননি তাঁদের থেকে এই উপসর্গগুলি আলাদা। গবেষকরা মনে করছেন এই পার্থক্যের কারণ হল ডেল্টা ভেরিয়েন্ট।
টিকা নেওয়া মানুষদের মধ্যে যে লক্ষণগুলি দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে সবার প্রথমে রয়েছে অত্যাধিক মাথা যন্ত্রণা, সর্দি এবং নাক দিয়ে অনবরত জল পড়া এবং হাঁচি। সর্দি, হাঁচি, কাশির বিষয়টা করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ যা ভ্যাকসিনেটেড এবং নন-ভ্যাকসিনেটেড উভয়দের মধ্যেই দেখা যায়। আবার সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার কারণেও এই উপসর্গগুলি দেখা দেয়। তাই কোনও রকম উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নিন। করোনা ভাইরাসের অন্যান্য উপসর্গ গুলির মধ্যে রয়েছে গলা ব্যথা, গন্ধ চলে যাওয়া ইত্যাদি। প্রত্যেকটি লক্ষণই ভ্যাকসিনেটেড এবং নন-ভ্যাকসিনেটেড উভয়দের মধ্যেই দেখা গেলেও ভ্যাকসিনেটেডদের থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি কম।
কিন্তু তা সত্ত্বেও টিকাকরণের ডোজ সম্পূর্ণ করা উচিত। কারণ একমাত্র টিকাকরণের দ্বারাই আপনি আপনার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, আপনার থেকে যাতে আপনার আশেপাশের কারোর সংক্রমণ না হয় সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন।