AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সাবধান, সামান্য নাক খোঁটা থেকেই নেমে আসতে পারে বড় বিপদ! জানেন কী হয়?

Nose Poking: কেউ হয়তো একা থাকলে নাক খোঁটেন, কেউ আবার লোক সমক্ষে নাক খোঁটেন। এই অভ্যাস যতটা অস্বস্তিকর এবং খারাপ, স্বাস্থ্যের জন্যও কিন্তু ততটাই ক্ষতিকারক। জানেন নাক খুঁটলে কী কী হতে পারে? কী মত চিকিৎসদের।

সাবধান, সামান্য নাক খোঁটা থেকেই নেমে আসতে পারে বড় বিপদ! জানেন কী হয়?
| Updated on: Jul 19, 2025 | 1:18 PM
Share

নাক খোঁটা একটা অভ্যাস। অনেকে অজান্তে বা অবচেতনভাবে করে থাকেন এই কাজ। কেউ হয়তো একা থাকলে নাক খোঁটেন, কেউ আবার লোক সমক্ষে নাক খোঁটেন। এই অভ্যাস যতটা অস্বস্তিকর এবং খারাপ, স্বাস্থ্যের জন্যও কিন্তু ততটাই ক্ষতিকারক। জানেন নাক খুঁটলে কী কী হতে পারে? কী মত চিকিৎসদের।

১. সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে – আমাদের নাকের ভেতর অতি সূক্ষ্ম ঝিল্লি বা মিউকাস মেমব্রেন থাকে, যা খুব স্পর্শকাতর। আঙুলের ময়লা, ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস থাকলে তা সহজেই নাকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। ফলে সর্দি, সাইনাস ইনফেকশন, বা অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

২. নাকের ভেতরের ক্ষতি হয় – বারবার নাক খোঁটার ফলে নাকের ভেতরের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে রক্তপাত, জ্বালা, এমনকি দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত বা ইনফ্লেমেশনও দেখা দিতে পারে। এমনকি নাকের ভেতরের টিস্যুও এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় যে তা সারতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।

৩. নাক রক্তপাত – অনেকেই লক্ষ্য করেন, নাক খোঁটার পর হঠাৎ রক্ত বেরিয়ে আসে। এর কারণ নাকের ভেতরে থাকা ছোট রক্তনালীগুলির ফেটে যাওয়া। এটি সাধারণত ক্ষণিকের হলেও, বারবার ঘটলে তা চিন্তার কারণ হতে পারে।

৪. সামাজিক অস্বস্তি তৈরি করে – নাক খোঁটা একটি অশোভন সামাজিক আচরণ হিসেবে গণ্য হয়। এটি দেখতে যেমন অস্বস্তিকর, তেমনই এটি অন্যের দৃষ্টিভঙ্গিতে আপনার প্রতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

৫. মানসিক সমস্যা – মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, কেউ কেউ অতিরিক্ত স্ট্রেস বা অস্থিরতায় পড়ে অবচেতনভাবে নাক খোঁটে। একে বলা হয় রাইনোটিলেক্সোম্যানিয়া (Rhinotillexomania)।