Diet Coke Side Effects: শরীর বাঁচাতে গলায় ঢালছেন ডায়েট কোক? অজান্তেই ক্যানসারের দিকে এক পা করে এগোচ্ছেন

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sneha Sengupta

Jul 19, 2023 | 3:40 PM

Side Effects Of Cold Drink: অ্যাসপার্টেম হল সুক্রোজের থেকে ২০০ গুণ বেশি মিষ্টি একটি উপাদান। যা কোল্ড ড্রিঙ্কে ব্যবহার করা হয়। বিগত ৩ দশর ধরে এর ব্যবহার হয়ে আসছে। ১৯৮১ সালে প্রথম এই উপাদান ব্যবহারে ছাড়পত্র দেয় 'ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।'

Diet Coke Side Effects: শরীর বাঁচাতে গলায় ঢালছেন ডায়েট কোক? অজান্তেই ক্যানসারের দিকে এক পা করে এগোচ্ছেন
ডায়েট কোকেই বাড়ছে বিপদ

Follow Us

কোল্ড ড্রিঙকের (Cold Drink) প্রতি মানুষের ঝোঁক বিশাল। গরমে একটু স্বস্তি পেতে সাত-পাঁচ না ভেবেই ঠান্ডা পানীয় গলায় ঢালেন অনেকেই। এই সব পানীয় বিষের সমান তা অজানা নয় কারও, তাও  কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। এবার এবিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WH0)

কোল্ড ড্রিঙক মানেই ক্ষতিকারক। কিন্তু মনের সান্ত্বনার জন্য অনেকেই ডায়েট কোক খান,এই ভেবে যে এতে শর্করার পরিমাণ কম ফলে শরীরের কম ক্ষতি হবে। কিন্তু জানেন কি,এই ধরনের কোল্ড ড্রিঙকে অ্যাসপার্টেম নামক কৃত্রিম সুইটনার ব্যবহার করা হয়? যা এক প্রকার কার্সিনোজেন। এই কার্সিনোজেনকে ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কী এই অ্যাসপার্টেম এবং কার্সিনোজেন? কোন-কোন পানীয়ে এর ব্যবহার করা হয়? আসুন জেনে নেওয়া যাক…

অ্যাসপার্টেম আসলে কী?
অ্যাসপার্টেম হল সুক্রোজের থেকে ২০০ গুণ বেশি মিষ্টি একটি উপাদান। যা কোল্ড ড্রিঙ্কে ব্যবহার করা হয়। বিগত ৩ দশর ধরে এর ব্যবহার হয়ে আসছে। ১৯৮১ সালে প্রথম এই উপাদান ব্যবহারে ছাড়পত্র দেয় ‘ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।’ গবেষণা অনুসারে এক গ্রাম অ্যাসপার্টেম থেকে ৪ কেসিওল শক্তি উৎপন্ন হয়। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, এই উপাদান মানব শরীরে ক্যানসার কোষ সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ।

কোন-কোন পানীয়ে ব্যবহৃত হয় অ্যাসপার্টেম?

১. ডায়েট কোকাকোলা

২. সুগার ফ্রি চুইংগাম

৩. সুগার ফ্রি পিপারমিন্ট গামস

৪. জিরো সুগার টি

৫. জিরো ক্যালোরি জুস

৬. সুগার ফ্রি জিলাটাইন

এই অ্যাসপার্টেমকে কার্সিনোজেন হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা। কার্সিনোজেন মূলত চার প্রকার। যথা- কার্সিনোজেনিক, সম্ভবত কার্সিনোজেনিক, সম্ভাব্য কার্সিনোজেনিক, ও শ্রেণীবিভাগযোগ্য নয়। এই অ্যাসপার্টেম, সম্ভাব্য কার্সিনোজেনিকের আওতাভুক্ত। যা ক্যানসারের দিকে মানুষকে ঠেলে দিতে পারে। ‘রয়টার্স’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি জুলাই মাসেই এই কার্সিনোজেনকে ক্যানসার সৃষ্টিকারী যৌগবলে ঘোষণা করতে চলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যানসার গবেষণা বিভাগ। শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের আরও ৯০ টি দেশে এই উপাদানযুক্ত পানীয়র রমরমা রয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন সফ্ট ড্রিঙক প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি এর বিরোধিতা শুরু করেছে।

 

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

Next Article