করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে গত দু’বছরে আমাদের জীবনধারা অনেকটা বদলে গিয়েছে। এখন মানুষ আগের চেয়ে বেশি সচেতন রোগ নিয়ে। ইতিমধ্যে দেশের বেশির ভাগ মানুষের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে এবং শুরু হয়েছে বুস্টার শট। কিন্তু এর মধ্যেই দেশ জুড়ে আবার বাড়ছে কোভিড আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কেরালার মতো রাজ্যে বেড়েছে সংক্রমণের সংখ্যা। স্বাস্থ্য ভবনের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় আমাদের রাজ্যেও আক্রান্তের সংখ্যা একশো পার করে ফেলেছে। গত ২৪ ঘণ্টার রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ জন। মৃত্যু হয়েছে একজনের। ২৫ জন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩৭৩ জনকে।
তৃতীয় ঢেউয়ের পর থেকে এখন দ্রুত মানুষ সুস্থ হয়ে উঠছে কোভিড থেকে। কিন্তু তা বলে এই রোগের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবকে কখনওই অবহেলা করা যাবে না। কোভিড স্টেট নেগেটিভ হওয়ার পরও মানুষের মধ্যে ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, জয়েন্টে ব্যথা, বুকে ব্যথা এবং দুর্বল স্মৃতিশক্তির সমস্যা রয়ে গিয়েছে। এর অর্থ ভাইরাস শরীর থেকে বেরিয়ে গেলেও তার প্রভাব কমেনি। এই ক্ষেত্রে দ্রুত ফিট হওয়ার অন্যতম উপায় হল পুষ্টিকর আহার। বিশেষজ্ঞদের মতে, একমাত্র খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন এনেই আপনি শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে পারবেন। যদি আপনি একবারও করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে খাদ্যতালিকায় কী-কী পরিবর্তন আনবেন, দেখে নিন…
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে যে সব খাবার খাবেন- ভিটামিন সি এবং জিংক, কপার ও আয়রনের মতো মিনারেল, পুষ্টিতে ভরপুর খাদ্য পণ্যগুলিকে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন। এর জন্য সাইট্রাস ফল, সবুজ শাক-সবজি এবং মরসুমি ফল বেশি করে খান।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান- কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর শরীরের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রোটিন। এছাড়াও যাঁরা সাধারণ সর্দি-জ্বরে ভুগছেন তাঁদেরও এই সময় কিন্তু রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়। অন্যদিকে হাড়, হরমোন, অ্যান্টিবডি ইত্যাদির মতো শরীরের প্রতিটি কোষের জন্য বিল্ডিং ব্লক প্রদান কর প্রোটিন। তাই চিকেন, ডিম, মাছ, বিভিন্ন সবজি, দুধ, সোয়াবিন, ফল এসব নিয়ম করে খান।
শক্তি প্রদানকারী খাবার খান- করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা শারীরিক ও মানসিক শক্তির উপরও প্রভাব ফেলে। এই ক্ষেত্রে শক্তি পনুরুদ্ধার করতে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার যেমন গম, ভুট্টা, গুড় এবং ঘি বেশি করে খান।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাটকে ডায়েটে রাখুন- স্বাস্থ্যকর ফ্যাত আদতে শরীরের জন্য ভাল। এগুলো হরমোনের কার্যকারিতায় বিশেষ অবদান রাখে এবং শরীরের দৈনিক পুষ্টির প্রায় ১৫-২০ শতাংশ প্রদান করে। এর জন্য আপনি অ্যাভোকাডো, বাদাম, ঘি এবং অলিভ অয়েলের মতো খাবারকে ডায়েটে রাখতে পারেন।