Women Health: কমছে মহিলাদের ডিম্বাণুর সংখ্যা, বাধা মাতৃত্বে, নেপথ্যে কোন কারণ? যা বলছেন চিকিৎসকরা

Premature Ovarian Failure: এই প্রিম্যাচিওর ওভারিয়ান ইনসাফিয়েন্সি-এর মূল কারণ হিসেবে জেনেটিক ডিসঅর্ডারের কথা বলছেন চিকিৎসকেরা। এছাড়াও কোনও কারণে কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন চললে আসতে পারে এই সমস্যা

Women Health: কমছে মহিলাদের ডিম্বাণুর সংখ্যা, বাধা মাতৃত্বে, নেপথ্যে কোন কারণ? যা বলছেন চিকিৎসকরা
যে কারণে বাড়ছে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2022 | 7:58 PM

পিসিওএস ( PCOS)এবং (PCOD)- এই দুটি রোগের সঙ্গে অধিকাংশ মহিলাই সুপরিচিত। বিশ্বজুড়ে ৮৮ শতাংশেরও বেশি মহিলা ভুগছেন এই সমস্যায়। বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছে লকডাউন পরবর্তী সময়ে মহিলাদের মধ্যে বেড়েছে হরমোনজনিত নানা সমস্যা। সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে পিসিওএস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ২৫-৩০ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে প্রিম্যাচিওর ওভারিয়ান ইনসাফিয়েন্সি (premature ovarian insufficiency)। যে কারণে বাড়ছে বন্ধ্যাত্ব (infertility)। চিকিৎসকরা বলছেন, এটি এমন এক অবস্থা যখন ডিম্বাশয় নিজের থেকে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সঙ্গে হ্রাস পায় ডিম্বানু উৎপাদন, অনিয়মিত হয় পিরিয়ড। ৩০-৪০ বছর বয়সের মধ্যে যে সব মহিলারা এই ইনফার্টিলিটির সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের মধ্যে প্রধান কারণ হল এই POI।

POI আদতে কী

যে সব মহিলারা এই POI-এর সমস্যায় ভোগেন তাঁদের শরীরে প্রাকৃতিক ভাবে ইস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্ট্রেরন তৈরি হয় না। এই দুই প্রধান স্ত্রী হরমোন শরীরে তৈরি না হলে সেখান থেকে ডিম্বানু উৎপাদন বাধা পায়। যা বন্ধ্যাত্বের অন্যতম প্রধান কারণ। অনিয়মিত পিরিয়ড, হট ফ্ল্যাশের সমস্যা ( অস্বাভাবিক গরম লাগা), যোনিপথের শুষ্কতা, যোনিপথে জ্বালা, রাতে অস্বাভাবিক ঘাম হওয়া, ঠিকমতো ঘুম না হওয়া এসবই হতে পারে প্রিম্যাচিওর ওভারিয়ান ইনসাফিয়েন্সির লক্ষণ। বর্তমানে অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়েছে যেখানে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৭-৮ জন চিকিৎসকের কাছে আসেন এই প্রিম্যাচিওর ওভারিয়ান ইনসাফিয়েন্সির সমস্যা নিয়ে।

কিন্তু কেন এই সমস্যা হয়

এই প্রিম্যাচিওর ওভারিয়ান ইনসাফিয়েন্সি-এর মূল কারণ হিসেবে জেনেটিক ডিসঅর্ডারের কথা বলছেন চিকিৎসকেরা। এছাড়াও কোনও কারণে কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন চললে, ভাইরাল কোনও ইনফেকশন হলে, অটোইমিউন কোনও রোগ থাকলে বা পরপারিবারিক ইতিহাসে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থাকলে সেখান থেকেও কিন্তু হতে পারে POI। এছাড়াও যাঁদের পূর্বে ডিম্বাশয়ের কোনও সার্জারি হয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রেও কিন্তু হতে পারে এই সমস্যা। অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা ২৫-৩০ বছর বয়সের মধ্যে সবচাইতে বেশি।

কী ভাবে জানবেন যে আপনি প্রিম্যাচিওর ওভারিয়ান ইনসাফিয়েন্সি-তে আক্রান্ত কিনা

এই সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি প্রথমেই বেশ কিছু রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দেন। যার মধ্যে রয়েছে ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH), ইস্ট্রোজেন এবং অ্যান্টিমুলেরিয়ান (AMH) এর পরীক্ষা।

চিকিৎসা প্রিম্যাচিওর ওভারিয়ান ইনসাফিয়েন্সি-এর সমস্যা হলে বাড়ে বন্ধ্যাত্ব্যের ঝুঁকি। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় বাড়ে বিষন্নতা। আসতে পারে হার্টের সমস্যা। এছাড়াও অ্যাংসাইচির মত সমস্যাও জাঁকিয়ে বসে। যদি পর পর কয়েকমাস পিরিয়ড না হয়, ঠিক সময়ে না হয়, থাইরয়েড থাকে এবং পারিবারিক ইতিহাসে ইনফার্টিলিটির সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন। প্রোজেস্টেরন ও ইস্ট্রোজেনের মধ্যে সমতা না থাকলে তার জন্য বিশেষ কিছু থেরাপির ব্যবস্থাও থাকে। যে সমস্ত মহিলারা সন্তান চান তাঁরা IVF পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন। দিনের পর দিন এই সমস্যা হলে ফেলে রাখবেন না। রোজ নিয়ম করে সুষম খাবার খান, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন নিয়ম করে খান, সঙ্গে শরীরচর্চা আবশ্যক।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।