সারাদিন ধরে কি মেপে মেপে জল খান? অনেকে তো জল খেতেই ভুলে যান। আর এখানেই ঘটে যত বিপত্তি। বেশির ভাগ শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন করার জন্য জল জরুরি। অথচ, অনেকেই ৪ লিটারের কম জল খান। জল শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আর দেহে জলের অভাব থাকলে সেটাও শরীর নিজেই সংকেত দেয়। এই লক্ষণগুলো চিনতে পারলেই আপনি একাধিক রোগের ঝুঁকি বা ডিহাইড্রেশনের বাড়বাড়ন্ত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।
১) ব্যায়াম করলে শরীর গরম হয়ে যায় এবং ঘাম বের হয়। শরীর আবার ঠান্ডা হয়ে যায় ঠিকই কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ জলের প্রয়োজন পড়ে। আর তখন যদি শরীর হাইড্রেটেড না থাকে মাংসপেশিগুলি জল পায় না। তখন হাত-পায়ে টান ধরতে থাকে। ব্যায়াম করা ছাড়াও যদি কখনও কোনও পেশিতে টান ধরে বুঝবেন দেহে তরলের ঘাটতি তৈরি হবে।
২) দেহে জলের ঘাটতি তৈরি হলে লিভারও ঠিকমতো কাজ করে না। লিভার জলের সাহায্যে গ্লাইকোজেন তৈরি করে, যা দেহে কাজ করার ক্ষমতা জোগায়। তখন খিদেও পায় বেশি। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিপস, চকোলেট, মিষ্টি ইত্যাদি অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
৩) শরীর ডিহাইড্রেট থাকলে মাথা ধরে যায়। মাথাব্যথা শুরু হয়। মাইগ্রেন থাকলে আরও সমস্যা বাড়ে। হঠাৎ করে মাথার যন্ত্রণা শুরু হলে একটু বেশি করে জল খেয়ে দিন। আর সারাদিন ধরে জল খেতে ভুলবেন না।
৪) জল কম খেলে লালা তৈরি হয় না। আর লালা তৈরি না হলে মুখে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। এই কারণে মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ ছাড়তে থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বেরোনোর পিছনেও এই কারণ কাজ করে। ঘুমের সময় লালা উৎপাদন হয় না। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে জল খান।
৫) ডিহাইড্রেশনের জেরে ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যায়। দেহে জলের ঘাটতি থাকলে ত্বকেরও আর্দ্রতা কমে যায়। ত্বক শুকিয়ে যায়। দিনের পর দিন এমনটা চলতে থাকলে, অকালেই বার্ধক্য দেখা দেয়। তাই ত্বককে ভাল রাখতেও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া দরকার।