অসহ্যকর গরম। বৃষ্টির নামগন্ধ নেই। অথচ, তাপমাত্রা যেন বেড়েই চলেছে। আর যে হারে গরম পড়ছে তাতে পাখার তলায় বসেও ঘাম হচ্ছে। সারাদিন এসি রুমে থাকলে যেন আরাম মেলে। কিন্তু রোদ থেকে ফিরে সরাসরি এসি ঘরে ঢুকে যাওয়া, ফ্রিজের ঠান্ডা জল খাওয়ার মতো অভ্যাস মোটেই ভাল নয়। এতে ক্ষণিকের আরাম মিললেও এখান থেকেই বাড়ে হাজারো শারীরিক সমস্যা। রোদ-গরমে বার বার ঠান্ডা ঘরের মধ্যে আসা-যাওয়া, সবসময় ফ্রিজের ঠান্ডা জল খাওয়া, দিনে কয়েকবার ঠান্ডা জল গায়ে ঢালা—এগুলো সর্দি-গর্মির সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
বাইরে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা। প্রচণ্ড গরম। এর মধ্যে অনেকেই নাক টানছেন। খুশখুশে কাশি, গলা ব্যথা, টনসিল ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন অনেকে। এই গরমের মধ্যে ঠান্ডা লেগে গেলে আরও বিরক্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই অবস্থায় প্রথমেই ফ্রিজের ঠান্ডা জল খাওয়া বন্ধ করুন। রোদ থেকে ফিরে এসি ঘরে ঢুকবেন না। রোদ থেকে ফিরে কিছুক্ষণ পাখার তলায় বসুন। ঘাম শুকিয়ে গেলে তারপর এসি রুমে ঢুকুন। পাশাপাশি ঘরের তাপমাত্রায় থাকা জল খান। এছাড়া সর্দি-গর্মির অবস্থা থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে? রইল ঘরোয়া টোটকা।
নুন-জলে গার্গেল করুন ও ভেপার নিন: গরমকালে সর্দি-কাশি হলে মিউকাস তৈরি হয়। নুন জলে গার্গেল করলে গলার সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আর যদি গরম জলে ভেপার নেন, তাহলে বুকে শ্লেষ্মা জমবে না। এতে বন্ধ নাকও খুলে যাবে এবং নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হবে না।
হলুদ: গরমে সর্দি-কাশি হলে কাজে আসতে পারে হলুদ। হলুদের মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ভাইরাল ইনফেকশন প্রতিরোধে ও প্রদাহ কমাতে সহায়ক। গরম দুধে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো ও মধু মিশিয়ে পান করুন। দুধ না খেলে গরম জলেও এই উপকরণগুলো মিশিয়ে খেতে পারেন।
মধু: সর্দি-কাশির সমস্যা এক নিমেষে দূর করে মধু। মধুর মধ্যে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে, যা ভাইরাসকে মারতে সাহায্য করে যেগুলো গরমে হওয়া সর্দি-কাশির জন্য দায়ী। তাছাড়া মধু শারীরিক প্রদাহ কমাতে সহায়ক। ১ চামচ লেবুর রস বা আদার রসের সঙ্গে ২ চামচ মধু মিশিয়ে খান। এই মিশ্রণটি দিনে ২-৩ বার খেলেই সর্দি-কাশির হাত থেকে মুক্তি মিলবে।
আদা চা: আদার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান রয়েছে, যা বন্ধ নাক খুলতে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়ক। আদা শরীরকে গরম করে দেয় ঠিকই, কিন্তু দ্রুত ক্ষত পুনরুদ্ধার করে। ঠান্ডা লাগার ধাত থেকে মুক্তি দিতে রোজ আদা দিয়ে চা খেতে পারেন।