উৎসবের মরশুমে ফের করোনা আতঙ্ক। চিনে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭। ভারতেও চারজনের শরীরে এই ভাইরাসের দেখা মিলেছে। যদিও চারজনই এখন সুস্থ। কিন্তু কোনওভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছ না রোগের ঝুঁকি। ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭-এ আক্রান্ত হলে জ্বর, সর্দি, কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া, ডায়ারিয়ার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি শীত পড়তেই জ্বর-সর্দি-কাশির সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে এখন চিন্তায় দিন কাটছে বাঙালির। কিন্তু সমস্যা হল, সাধারণ জ্বর-সর্দি হলেও খুসখুসে কাশির সমস্যা পিছু ছাড়ছে না। করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে আপনাকে কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে। আর যদি খুসখুসে কাশির হাত থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিন।
আদার চা- গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আদার চায়ে কাশির সমস্যা এবং শারীরিক প্রদাহ কমে। তাছাড়া আদা হল সুপারফুড। শীতে এটি আপনার শরীরকে সমস্ত রকম রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
রসুন- আদার মতো রসুনও খুসখুসে কাশির সমস্যা দূর করে। রসুনের মধ্যেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক কোয়া করে কাঁচা রসুন খেতে পারেন। এছাড়া গরম দুধের সঙ্গে রসুন মিশিয়ে পান করতে পারেন। এতে গলা ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
মধু ও লেবু- মধু ও লেবু এই দুটো উপাদানই স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। এই উপাদান দুটির অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, গলা ব্যথা, কাশির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এক গ্লাস গরম জলে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এই মিশ্রণটি বুকে জমে থাকা সর্দিও দূর করে দেবে।
মুলেঠি- আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে মুলেঠির ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। এই ভেষজ উপাদানটি আপনাকে গলার ব্যথা থেকে আরাম দিতে সাহায্য করে। এক কাপ জলে কয়েক টুকরো মুলেঠি ফুটিয়ে নিন। ওই জলটা পান করুন। এতে কাশির সমস্যাও দূর হয়ে যাবে।
নুন জলে গার্গেল করুন- এই ঘরোয়া টোটকার বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন। চিকিৎসকেরাও এই টোটকা মেনে চলার পরামর্শ দেন। হালকা গরম জলে সামান্য নুন মিশিয়ে গার্গেল করুন। এই মিশ্রণের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা গলার সংক্রমণ রোধ করে।
(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)