নতুন বছরে অনেকেই সুস্থ থাকার সংকল্প নিয়েছিলেন এবং এর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপও নিচ্ছেন। যদিও তাঁদের মধ্যে অনেকেই থাকবেন যারা মিষ্টি খুব পছন্দ করবেন, কিন্তু এর কারণে তাঁরা ওজন কমাতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। এটা আপনার সকলেই জানেন যে মিষ্টি জিনিস ওজন বাড়াতে সাহায্য করে এবং সেরা ডায়েটের জন্য ভাজা খাবার আর মিষ্টিকে উপেক্ষা করতে হবে। এই মিষ্টি আসক্তিকে ইংরেজিতে বলা হয় সুগার ক্রেভিং। এমনও হয় যে মানুষ নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং মিষ্টি খাওয়া শুরু করে। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে সন্ধ্যার সময় আমাদের শরীরে এই সুগার ক্রেভিং উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
যদি সন্ধ্যায় উচ্চ-ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া হয়, তবে এটি ওজন বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে। এমন পরিস্থিতিতে, আমরা আপনাকে এমন কিছু সহজ টিপস সম্পর্কে বলব, যা অনুসরণ করে আপনি বেশ কিছুটা পরিমাণে চিনির লোভ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন…
ফলের উপর নির্ভর করবেন না:
অনেকেই ডায়েটিং করার সময় শুধু ফল খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু তা করলে খিদে পায়। অনেক সময় ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে না এবং মিষ্টি খাওয়া হয়ে যায়। সেই কারণে বাদাম খাওয়া উচিত। এর ফলে পেট ভরা থাকে এবং চিনির লোভ থাকে না।
জল পান করা:
যখনই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে, এমন অবস্থায় জল পান করাই ভাল। ফলে সেই সময়ে পেট ভরবে এবং চিনির লোভ থাকবে না। অনেক সময় দেখা গেছে, এই অবস্থায় মিষ্টি খেলেও মনে হবে বেশি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। সেই কারণে মিষ্টি একেবারেই না খেয়ে ধীরে ধীরে মন চিনি থেকে দূরে নিয়ে যাওয়া উচিত।
মানসিক চাপের কারণ:
অনেক সময় চিনির লোভ না মেটালে রক্তে শর্করার মাত্রা খারাপ হতে শুরু করে। এর ফলে তা মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন অবস্থায় পেট ভর্তি রাখুন, যাতে চিনির লোভ না থাকে। এটি আপনার পেট ভরাট রাখতেও উপকারী হবে, পাশাপাশি আপনার মিষ্টি খেতে ভাল লাগবে না এবং এতে আপনার ওজনও বাড়বে না।
বেশি পরিমাণে ঘুমোন:
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম যদি ঠিকমতো না হয়, তাহলে এই অবস্থায়ও শরীর মিষ্টির চাহিদা শুরু হয়। শরীরে এনার্জির টান পড়ে, তাই মিষ্টির চাহিদা তৈরি হয়। সেই কারণে সারাদিনে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের আরও অনেক উপকারের কারণ এবং এটি ত্বকের জন্যও সেরা।