ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপের মতোই আরও একটি সমস্যা যা সম্প্রতি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তা হল ইউরিক অ্যাসিড। এই বিশেষ অ্যাসিডের বার-বারন্তের ফলে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। মাসের প্রথমে হাজার একটা টেস্ট, ওষুধ কিছু করেও বাগে আনা যাচ্ছে না এই সমস্যাকে? এবার নজরটা ঘোরান ডায়েটের দিকে।
ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশারের মতোই এই সমস্যাকে বাগে আনার একটি উপায় হল জীবনযাত্রায় লাগাম টানা। সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনযাপবন আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাঁর জন্য অবশ্যই রাশ টানতে হবে খাওয়াদাওয়াতে। এক্ষেত্রে যেমন বেশ কিছু খাবার পাত থেকে বাদ দিতে হবে ঠিক তেমনই ডায়েটে যোগ করতে হবে বিশেষ কিছু খাবারও। আসুন দেখে নেওয়া যাক কোন-কোন খাবার রয়েছে এই তালিকায়…
লো ফ্য়াট দই:
অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কম চর্বিযুক্ত দুধ এবং কম চর্বিযুক্ত দই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এবং শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতেও সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ডায়েটে যোগ করুন এই খাবার। এক বাটি টকদই খান। এবং দিনের কোনও একটা সময় এক গ্লাস দুধ খেয়ে নিন।
কফি:
কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন পিউরিনগুলিকে ভেঙে দেয়। যার ফলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদন হ্রাস পায়। এর পাশাপাশি শরীর থেকে এই ময়লা অপসারণও হয়।
সাইট্রাস ফল:
আমলা,লেবু,কমলা লেবু, পেঁপে এবং আনারসের মতো সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এই ফলগুলি প্রাকৃতিকভাবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ।
অন্যান্য খাবার:
চেরি, ওটস, আপেল, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, শসা, গাজরে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে। যা সিরাম ইউরিক অ্যাসিডের ঘনত্ব কমতে সাহায্য করে।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:
এই বিশেষ ভিনিগারে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে।
মদ্যপান:
মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা অবিলম্বে ত্যাগ করুন। কারণ এতে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
সফ্ট ড্রিঙ্ক:
কোলা জাতীয় ঠাণ্ডা পানীয় পান করলেও বাড়ে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। এই ধরনের পানীয় জীবন থেকে বাদ দিন।
কী কী খাবার বন্ধ করতে হবে?
যেকোনও বীজ যুক্ত সবজি খাওয়া চলবে না। বীজ ফেলে সবজি খান। পালং শাক, পুঁই শাক,মুসুর ডাল,বিউলি ডাল,মাটন,সামুদ্রিক মাছ খাওয়া নিষেধ। সেই সঙ্গেই ক্যানড ফুড খাওয়া চলবে না। মাছ, ডিম বা চিকেন খেতে পারেন অসুবিধা নেই কিন্তু মেপে খান। দিনে ৫০ গ্রামের বেশি নয়। এছাড়াও ইউরিক অ্য়াসিডের সমস্যা দেখা দিলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এই সমস্যা যদি এড়াতে চান তাহলে দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল পান করুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।