বিশ্বের সবথেকে উন্নত মানের গবেষণা যে কয়েকটি জায়গায় হয় তার মধ্যে অন্যতম হল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। গুরুত্বপূর্ণ প্রচুর বিষয় নিয়ে নিয়মিত গবেষণা হয় এখানে। ২০১১ সালে হার্ভার্ড এর পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা এবং চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ হার্ভার্ড হেলথ পাবলিকেশন্সের গবেষকদের সঙ্গে জুটি বেঁধে বিশেষ একটি ডায়েট প্ল্যান আনেন। আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বেই হার্টের সমস্যা, ক্যানসার এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস বাড়ছে। আর তাই এই সব রোগ রুখে ডিতেই বিশেষ এই ডায়েট প্ল্যানটি বানিয়েছেন হার্ভার্ডের গবেষকরা। মানুষের আয়ু আগের থেকে কমেছে। বেড়েছে রোগজ্বালাও। যে কারণে এশন সকলেই দীর্ঘায়ু হতে চাইছেন। সেই সঙ্গে শরীর যাতে সুস্থ থাকে তাও কাম্য। যে কারণে এমন ডায়েট প্ল্যান বেছে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যাতে সকলেই সুস্থ থাকতে পারেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং পুষ্টিবিদরা একসঙ্গে মিলে এই বিশেষ ডায়েট প্ল্যানটি বানিয়েছেন। সুষম আহার কী এবং রোজ কীভাবে আপনার প্লেট সাজিয়ে নেবেন সেই পরামর্শই দেয় এই ডায়েট। খাবারের মধ্যে অর্ধেক রাখতে হবে ফল আর সবজির জন্য। সেই সঙ্গে গোটা শস্য আর স্বাস্থ্যকর প্রোটিনও রাখতে হবে সেই তালিকায়।
একটা গোটা প্লেটের অর্ধেক জুড়ে রাখুন ফল আর শাকসবজি। এমন ভাবে ডায়েট প্ল্যান করুন যাতে ফল আর সবজি দুই থাকে আপনার পাতে। আর সেই সব সবজি যাতে রঙিন হয় সেইদিকেও কিন্তু নজর রাখতে হবে। গাজর, রাঙা আলু, বিনস, ব্রকোলি, মটরশুঁটি, ক্যাপসিকাম এসব বেশি করে খেতে হবে। রোজ একটা করে যে কোনও শাক খেতে হবে। যে খাবারই খান না কেন তা ভাল করে চিবিয়ে খেতে হবে। তবেই সেই খাবারের পুষ্টিগুণ শরীরের কাজে লাগবে। এছাড়াও গোটা শস্যও খেতে হবে। গোটা শস্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, ফাইটোকেমিক্যাল, খনিজ থাকে। যা শরীরের অনেক রকম কাজে লাগে। ওটস, কুইনোয়া, গম, ব্রাউন রাইস, যব এসব খেতে হবে। এছাড়াও প্রোটিনের মধ্যে রোজ খান মাছ, চিকেন, বিভিন্ন ডাল, ডিম এবং বাদাম। যে কোনও প্রসেসড মাংস যেমন হ্যাম, বেকন, সসেজ, সালামি একদম বাদ দিতে হবে ডায়েট থেকে।
রান্নায় স্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহার করতে হবে এবং তার পরিমাণও যেন সামিত থাকে। মার্জারিন ব্যবহার করা যাবে না। সোয়াবিন, ভুট্টার তেল, সূর্যমুখীর থেকে প্রাপ্ত তেল, ক্যানোলা অয়েল এবং অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন রান্নায়। দিনের মধ্যে তিনকাপ দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বার্ভার্ডের গবেষকরা। তবে সেই দুধে চিনি মেশানো চলবে না। এছাড়াও দুধ চা বা কফি এড়িয়ে যান। লিকার চা, ব্ল্যাক কফি এসব খান। যাদের দুধে সমস্যা রয়েছে তারা ফ্রেশ জুস খান। এই জুসে কোনও রকম চিনি মেশানো চলবে না।