Orange Peel: কমলালেবুর খোসা কি খাওয়া যায়? মরশুম শেষ হওয়ার আগে জানুন এর পুষ্টিগুণ

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Jan 24, 2023 | 7:00 AM

Health Benefits: অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কমলালেবুর খোসা কি আদৌও খাওয়া যায়? আর খেলেও কীভাবে খাবেন? সব প্রশ্নের উত্তর রইল।

Orange Peel: কমলালেবুর খোসা কি খাওয়া যায়? মরশুম শেষ হওয়ার আগে জানুন এর পুষ্টিগুণ

Follow Us

এই শীতে নিশ্চয়ই কমলালেবু খাচ্ছেন। আর কমলালেবুর খোসাগুলো কী করছেন? ফেলে দিচ্ছেন? এখনই বন্ধ করুন। কমলালেবুর মরশুম এবার শেষের দিকে। আর হয়তো এক-দেড় মাস বাজারে কমলালেবু পাওয়া যাবে। এর মধ্যে কমলালেবুর খোসার সুবিধাগুলো নিয়ে নিন। অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কমলালেবুর খোসা কি আদৌও খাওয়া যায়? কমলালেবু যেমন স্বাস্থ্যের উপকারী, তেমনই এই ফলের খোসাও পুষ্টিগুণে ভরপুর।

কমলালেবুর মধ্যে ভিটামিন সি এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। এই একই পুষ্টি কমলালেবুর খোসাতেও উপলব্ধ। বরং, কমলালেবুর খোসা যে সব খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়, তা স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। কমলালেবুর খোসার মধ্যে ফাইবার, ভিটামিন সি, ফোলেট, ভিটামিন বি৬, ক্যালশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

কমলালেবুর খোসার মধ্যে পলিফেনল নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়া অ্যান্টি-ক্যান্সারিয়াস উপাদানও পাওয়া যায়। আর রয়েছে লাইমোনেনের মতো রাসায়নিক যৌগ। এই সব উপাদানগুলো ক্যানসার বিরোধী। অর্থাৎ কমলালেবুর খোসা ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

এখন বড় প্রশ্ন হয়, কমলালেবুর খোসা কি খাওয়া যায়? কমলালেবুর রস যে খাবেন, সেভাবে তো আর কমলালেবুর খোসা খাওয়া যায় না। তাছাড়া সরাসরি কমলালেবুর খোসা খাওয়া শরীরের পক্ষে একদমই সুরক্ষিত নয়। তাছাড়া কমলালেবুর খোসা খেলেও তা তেঁতো লাগবে। কমলালেবুর খোসা ব্যবহারের আগে গরম জলে ভাল করে ধুয়ে নিন। সরাসরি খাওয়ার বদলে স্যালাদ, স্যান্ডউইচ, স্মুদি ইত্যাদিতে মিশিয়ে কমলালেবুর খোসা খেতে পারেন।

কমলালেবুর খোসা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। কমলালেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে নিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এভাবে আপনি দীর্ঘদিন সেটা সংরক্ষণ করতে পারেন। চা বানানোর সময় এক চা চামচ কমলালেবুর খোসা মিশিয়ে দিন। এটি কমলালেবুর খোসা খাওয়ার সবচেয়ে সুরক্ষিত উপায়। এছাড়া আপনি চাইলে কমলালেবুর খোসা দিয়ে জেলি বানিয়েও খেতে পারেন। এতে কমলালেবুর খোসার তিক্তভাবও কেটে যাবে। মিক্সিতে কমলালেবুর রস, গ্রেট করা কমলালেবুর খোসা, চিনি দিয়ে একসঙ্গে পেস্ট বানিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ভিজিয়ে রাখা জেলেটিনের সঙ্গে ফুটিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে জেলি। এটিও আপনি সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।

কমলালেবুর মতো এর খোসা দিয়েও এসেনশিয়াল অয়েল তৈরি হয়। কমলালেবুর খোসার এসেনশিয়াল অয়েলও স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। কমলালেবুর খোসায় যে এসেনশিয়াল অয়েল পাওয়া যায়, তার প্রদাহ-বিরোধী উপাদান রয়েছে। গাঁটে ব্যথা, পেশির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আপনি এই এসেনশিয়াল অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। পিরিয়ডের সময় তলপেটে ব্যথা থেকে আরাম দিতে পারে এই এসেনশিয়াল অয়েল।

Next Article